ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দাতাদের কাছ থেকে ৮ হাজার ৬ কোটি ঋণ পাওয়ার পথ খুলল

গ্রীক পার্লামেন্টে সংস্কারের দ্বিতীয় বিল পাস

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৪ জুলাই ২০১৫

গ্রীক পার্লামেন্টে সংস্কারের দ্বিতীয় বিল পাস

গ্রীসে জোট সরকারের প্রধান শরিকের কট্টরপন্থীদের মধ্যে বিদ্রোহ সত্ত্বেও গ্রীসের পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় দফা আর্থিক সংস্কারের বিল পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৩০-৬৩ ভোটে বিলটি পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে ইইউ দাতাদের কাছ থেকে গ্রীসের ৮ হাজার ৬শ’ কোটি ইউরো ঋণ পেতে আলোচনা শুরুর পথ প্রশস্ত হলো। খবর ইয়াহু নিউজ ও বিবিসি অনলাইনের। এই অর্থ ছাড়া গ্রীস অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংসের মুখোমুখি এবং ইউরো মুদ্রার ক্লাব ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হতো। তুমুল বিতর্কের পর আইনপ্রণেতারা স্থানীয় সময় ভোর ৪টার বিলের পথে ভেট দেন। ৩শ’ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টের ৫ জন সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেন। এই বিলে গ্রীসের ব্যাংকিং ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এর আগে পাস হওয়া প্রথম দফা সংস্কার প্রস্তাবে মূলত কর বৃদ্ধি ও বাজেট কাটছাঁটের কথা বলা হয়েছিল। ক্ষমতাসীন দল সিরিজা পার্টির আইনপ্রণেতাদের মধ্যে এসব প্রস্তাব নিয়ে দ্বিমত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপরাস বিরোধী দলে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থীদের সমর্থনে এবার সহজেই খসরা আইন পাসের বাধা কাটাতে সক্ষম হন। বিলের ওপর আলোচনা চলার আগে পার্লামেন্টের বাইরে প্রায় ১০ হাজার গ্রীক কৃচ্ছ্রবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। যে সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে কিছু তরুণ দাঙ্গা পুলিশের প্রতি পেট্রোলবোমা ছোড়ে। তবে এতে কেউ আহত বা গ্রেফতার হয়নি। শুক্রবার এথেন্সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঋণদাতাদের গ্রীসের ঋণের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসার কথা। বৃহস্পতিবার বিলের বিরুদ্ধে যারা ভোট দেন তাদের মধ্যে সিপরাসের সিরিজা পার্টির ৩১ জন সদস্যও ছিলেন। তবে গত সপ্তাহের প্রাথমিক ভোটের তুলনায় এটি ছিল ছোটখাটো বিদ্রোহ। গ্রীসের সাবেক অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস প্রথমবার বিপথে ভেট দেন। তবে দ্বিতীয় বিলে তিনি সমর্থন দিয়েছেন। ভোটাভুটির আগে প্রধানমন্ত্রী সিপরাস পার্লামেন্টে বলেন, দাতাদের বেঁধে দেয়া শর্তে তিনি নিজেও খুশি নন। ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী চক্রের বড় ধরনের পরিকল্পনা এড়াতেই আমরা কঠিন সমঝোতা করেছি। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছি, যাতে আমরা বিশ্বাস করি না এমন একটি কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা এগুলো বাস্তবায়ন করব, কারণ এর বিকল্পগুলো কঠিন। একটি জরুরী অবস্থার মধ্যে আইন প্রণয়ন করতে আমাদের এখানে সমবেত হতে হয়েছে।’ তিনি পদত্যাগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন। ‘এই সরকারে বামদের উপস্থিতি শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য নয়। এটি হলো একটি ঘাঁটি, যেখান থেকে জনগণের স্বার্থ প্রতিষ্ঠায় আমরা লড়াই করব। আমি এই ঘাঁটি পরিত্যাগ করব না। অন্তত আমার স্বাধীন ইচ্ছায়।’ বুধবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) গ্রীসের ব্যাংকগুলোকে ৯০ কোটি ইউরোর জরুরী তহবিল জুগিয়েছে। অর্থ সঙ্কটের কারণে তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সোমবার গ্রীসের ব্যাংকগুলো খুলে দেয়া হয়।
×