ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

বাগেরহাটের রাজাকার লতিফ তালুকদার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৪ জুলাই ২০১৫

বাগেরহাটের রাজাকার লতিফ তালুকদার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বাগেরহাটের তিন রাজাকারের মধ্যে আব্দুল লতিফ তালুকদার বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২৩ জুন বাগেরহাটের রাজাকার কসাই সিরাজ মাস্টার, আব্দুল লতিফ তালুকদার ও খান আকরামের মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছে। যে কোন দিন এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রয়েছে। এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বাধ্যর্কজনিত কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আব্দুল লতিফ তালুকদার অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুর একটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এই তিন জনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ রয়েছে। এই সাত অভিযোগে গত বছরের ৫ নবেম্বর বিচার কার্যক্রম শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্ত ৩ জনই আটক আছেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কচুয়ার শাঁখারিকাঠি বাজারে গণহত্যা, ধর্ষণ ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোসহ ছয়টি সুনির্দিষ্ট অপরাধ ও ৮শ’ ১৯ জনকে হত্যার অভিযোগে সিরাজ মাস্টারকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা গ্রামে তার চাচাশ্বশুর মৃত মোসলেম পাইকের পরিত্যক্ত খুপড়ি ঘর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া, কচুয়া থানা পুলিশ ১১ জুন এই মামলার অপর পলাতক আসামি আঃ লতিফ তালুকদারকে ও ১৯ জুন অপর পলাতক আসামি আকরাম হোসেন খানকে রাজশাহী থেকে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করা করে। তাদের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৩ মে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাগেরহাট জেলার রঞ্জিতপুর গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর লুট এবং অগ্নিসংযোগ। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪০-৫০ নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়। বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ডাকরার কালীমন্দিরে ভারতের শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার উদ্দেশে জড়ো হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই-তিন হাজার লোক।
×