ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জলের তলে বীজতলা

প্রকাশিত: ০৭:১১, ২৪ জুলাই ২০১৫

জলের তলে বীজতলা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় অতিবৃষ্টিতে আমন ধানের অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন চাষীরা। স্থানীয় বাজারে উন্নতমানের উফসী জাতের ধানের বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। বীজ সঙ্কটে খুলনার বিভিন্ন উপজেলার চাষীরা বিপাকে পড়েছেন। জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমন ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরুর পর খুলনা অঞ্চলে দফায় দফায় টানা বর্ষণ হয়েছে। বর্তমানে কখনও ভারি আবার কখনও হালকা বা মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেইসঙ্গে নদীর তীরবর্তী এলাকার জমি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। নদীর পানিতে এখনও মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্তা রয়েছে। মৌসুমের শুরুতে খুলনার নয় উপজেলায় কৃষকেরা নিজেদের চাহিদা মতো আমন ধানের পাতো (চারা) উৎপাদনের জন্য বীজতলা তৈরি করে বীজ বুনেছেন। ওইসব বীজতলায় চারা ২Ñ৩ ইঞ্চি মাত্র লম্বা হওয়ার পর তা পানিতে তলিয়ে গেছে। সে সব বীজতলায় এখনও হাঁটুপানি। কেউ কেউ সেচ দিয়ে বীজতলা থেকে পানি অপসারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে যে বীজ দরকার তা চাষীদের হাতে নেই। বাজারে ভাল মানের বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া চড়া দামে বীজ কেনার সামর্থও অনেক কৃষকের নেই। ফলে বীজ সঙ্কটে চাষীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। খুলনার আইলা কবলিত দাকোপ উপজেলার একাধিক কৃষক জানান, এক টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এলাকার অসংখ্য কৃষকের আমনের বীজতলাসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে থাকা বীজতলার পানি এখনও পর্যন্ত নিষ্কাশন করতে না পারায় এলাকার হাজারও কৃষক আমন ধানের চাষাবাদ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলোর বেহাল অবস্থা এবং বিভিন্ন জলাশয়ে প্রভাবশালীরা বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করায় এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতার কারণে চাষীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণে ডুমুরিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকের বীজতলা ডুবে গেছে। এ কারণে কৃষকরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এ উপজেলায় এবার উফসী ও স্থানীয় জাতের ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাইয়ূম জানান, চলতি আমন মৌসুমে খুলনা জেলায় ৯২ হাজার ৪৪২ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
×