ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হত্যা মামলা ॥ বাদী ও সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২৪ জুলাই ২০১৫

হত্যা মামলা ॥ বাদী ও সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুর আল-আমীন বীমা এ্যান্ড ইসলামিক ইন্সুরেন্সের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তাকিম বিল্লা হত্যা মামলায় জেএমবির শূরা সদস্য ও সামরিক কমান্ডার আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহীদকে (৩২) পুলিশের কড়া প্রহরায় বৃহস্পতিবার আদালতের হাজির করা হয়। আগামী ধার্য তারিখে বাদীসহ তিন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ-২ এর বিচারক মাহমুদুল করিমের আদালতে চাঞ্চল্যকর আল-আমীন বীমা এ্যান্ড ইসলামিক ইন্সুরেন্সের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তাকিম বিল্লা হত্যা মামলার বিচারের জন্য দিন ধার্য ছিল। এই চাঞ্চল্যকর মামলার বাদী নবাবগঞ্জ উপজেলার শকুনখোলা গ্রামের নিহত মোস্তাকিম বিল্লার মামা আব্দুল্লাহসহ অপর দুই সাক্ষীকে পরবর্তী ধার্য তারিখ ১৮ আগস্ট আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন। এই মামলার অপর আসামি ভাগ্নে শহীদের স্ত্রী ও শীর্ষ মহিলা জঙ্গী বদরুন্নাহার লিমুকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে দেশের সকল থানায় হুলিয়া ও গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বিচারক তাগিদের আদেশ দেন। দুপুরে ভাগ্নে শহীদকে কড়া পুলিশ ও র‌্যাব প্রহরায় আদালত থেকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সূত্রটি জানায়, ভাগ্নে শহীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় হত্যা, নাশকতা, অস্ত্র বিস্ফোরক ও জঙ্গীর সংক্রান্ত ঘটনায় ১৪টি মামলার তদন্ত ও বিচারাধীন রয়েছে। শীর্ষ মহিলা জঙ্গী বদরুন নাহার লিমু স্থান ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে। বদরুন নাহার লিমু পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলছে। জানা যায়, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার সগুনখোলা গ্রামের আব্দুস সামাদ লাহেড়ীর কন্যা বদরুন নাহার লিমু দিনাজপুর সরকারী কলেজে লেখাপড়া করত। ২০০৮ সালের জুন মাসে জেএমবির শূরা সদস্য আনোয়ার আলম ওরফে খোকা ওরফে নাজমুল ওরফে তুহিন ওরফে ময়নুল ওরফে ভাগ্নে শহীদের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরেই দুজনের মধ্যে বিয়ে এবং স্বামী-স্ত্রী দুজনই নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী জঙ্গী সংগঠন জেএমবির কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। লিমুর বড় ভাই নিহত মোস্তাকিম বিল্লাহকে জেএমবির কর্মকা- পরিচালনার জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছিল। ওই টাকা জেএমবির কর্মকা-ে প্রদান না করে মোস্তাকিম বিল্লাহ আত্মসাতের পরিকল্পনা করায় গত ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর নামক স্থানে পাকা রাস্তার পাশে আসামিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের মামা মোঃ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট পেশ করে।
×