ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটেই হবে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৬ জুলাই ২০১৫

কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটেই হবে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি

মুহাম্মদ ইব্রাহীম সুজন ॥ কোন সমঝোতা কিংবা সিলেকশন নয়, সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটেই ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতৃত্ব গঠিত হবে। সব ধরনের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে শনিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলনের প্রথম দিনে ইলেকশনের মাধ্যমে নিয়মিত ছাত্রদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর সঙ্গে তিনি প্রার্থীদের বয়সসীমা ২৯ বছর থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তাঁর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা এবং অস্পষ্টতা দূর হয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়ে আসছিল, যা এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হলো। রবিবার সকাল দশটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে সংগঠনের প্রায় তিন হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল। প্রার্থীর বয়স বাড়ানো হতে পারে, এমন আশায় যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তাদের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেল। ফলে ছিটকে পড়লেন অনেক ‘আলোচিত প্রার্থী’। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বর্তমান কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক নেতা তাদের প্রতিক্রিয়ায় জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, ইলেকশন করে নেতৃত্ব গঠন করা হলে ইলেকশন প্রক্রিয়াকে কখনই ‘সিন্ডিকেট’ প্রভাবমুক্ত রাখা সম্ভব নয়। ফলে ঘুরে ফিরে এবারও সেই ‘কথিত সিন্ডিকেটই’ উপমহাদেশের সব থেকে প্রাচীন এই ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা সভাপতি পদে ৬৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪২ জন। তবে রবিবার সকালে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় দেয়া হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে যারা অবশিষ্ট থাকবেন তাদের মধ্য থেকেই ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন মোট ১০৯টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের কাউন্সিলররা। প্রতিটি ইউনিটে ভোটার সংখ্যা ২৫ জন। সংগঠনটির অতীতের রেওয়াজ অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও ঝামেলা মুক্ত করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে প্যানেল তৈরি করা হয়। বর্তমান ও সাবেক নেতাদের সমর্থন ও আশীর্বাদ নিয়ে গঠিত প্যানেলের বাইরে থাকা অধিকাংশ প্রার্থীরা সাধারণত তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে থাকেন। নির্বাচন কশিনার ও বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সকল বৈধ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এবং কাউন্সিলরদের আগামীকাল (আজ) সকাল নয়টার মধ্যে নির্বাচন ভেন্যুতে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্যানেল ঠিক করতে আলোচনা ও তৎপরতা ॥ শনিবার সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পর পরই বিদায়ী কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সাবেক ও বর্তমান কয়েক নেতা আলোচনায় বসেন। এ বৈঠক শেষেই স্পষ্ট হতে পারে কারা আসতে পারেন সম্ভাব্য প্যানেলে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে সম্ভাব্য প্যানেলের নাম ঘোষণা হয়নি। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকের প্রথম দিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্যানেল ঠিক করতে এক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় কিছুটা মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। বৈঠক সম্পর্কে কেউ স্পষ্ট করে কোন কথা বলতে রাজি হননি। ধারণা করা হচ্ছে এবারের সম্ভাব্য প্যানেল হতে পারে দুটি। একটি বর্তমান সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের প্যানেল। অপরটি সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের প্যানেল।
×