ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কালাচাঁদপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৬ জুলাই ২০১৫

কালাচাঁদপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারীকরণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গবর্নিং বডির রোষানলে পড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজধানীর গুলশান কালাচাঁদপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক। গবর্নিং বডির সদস্যদের ভয়ে প্রতিষ্ঠানেই যেতে পারছেন না তারা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নির্যাতিত শিক্ষকদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলেছেন, গবর্নিং বডির সদস্য ও তাদের মদদপুষ্ট বহিরাগতদের হুমকিতে ভয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ এমপিওভুক্ত অনেক শিক্ষক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নিরাপত্তা চেয়ে গুলশান ও ভাটারা থানায় একাধিক জিডিও করেছেন শিক্ষকরা। সরকারিকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে গবর্নিং বডি এখন জোর করে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষকরা এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছেন। এর আগে গত সপ্তাহে জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘গুলশানের কালাচাঁদপুর স্কুলের শিক্ষকদের ঈদ বোনাস অনিশ্চিত/ সরকারীকরণের বিরুদ্ধে গবর্নিং বডির অবস্থানে সঙ্কট তৈরি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে গবর্নিং বডির অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার আসল চিত্র বেরিয়ে আসায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়েছেন অপরাধীরা। তবে একই সঙ্গে নতুন কৌশলে শিক্ষকদের হয়রানি শুরু করেছেন। শিক্ষকরা দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সকল গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএসএমএমইউতে সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ॥ উপাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাধুনিক উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টও সে ধরনের একটি চিকিৎসাসেবা, যা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ-এর মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পর শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা আর সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না বরং উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র সি ব্লকের ৭ম তলায় মাল্টিপারপাস হলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ ২য় পর্যায়ের প্রথম বরাদ্দপত্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২য় পর্যায়ের প্রথম বরাদ্দপত্র অনুষ্ঠানে ৩৬ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে নামমাত্র মূল্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দপ্রাপ্ত ৩৬ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মধ্যে ৩৪ জনই শিশু। ২য় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আরও ৩৬ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে এ বরাদ্দপত্র দেয়া হবে। এ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের (২০১৬ সাল) জুন মাসে শেষ হবে। -বিজ্ঞপ্তি
×