ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রেফারিং নিয়ে ম্যারাডোনার গোস্সা

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৬ জুলাই ২০১৫

রেফারিং নিয়ে ম্যারাডোনার গোস্সা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একপ্রকার জোর করেই পানামাকে হারিয়ে কনকাকাফ গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে মেক্সিকো। ম্যাচে রেফারির নির্লজ্জ পক্ষপাতের কারণে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি পানামার। রেফারির জঘন্য এই কা-ে ক্ষোভ ঝরিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী তারকা তার ফেসবুক পেজে লেখেন- আমি পানামার খেলোয়াড়দের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। সেমিফাইনাল ম্যাচটি পুনরায় আয়োজন করার পাশাপাশি রেফারির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণেই মেক্সিকো ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে। সেমিফাইনালে টোরেসের গোলে ফাইনালের দিকেই এগোচ্ছিল পানামা। কিন্তু বিপত্তি করেন রেফারি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হলে অতিরিক্ত ১০ মিনিট দেন তিনি। এই সময়ের শেষ মিনিটে অর্থাৎ দশম মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি পায় মেক্সিকো। তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান গুয়ার্ডাডো। সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। এরপর ম্যাচ গড়ায় বাড়তি ৩০ মিনিটে। ১০৬ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় মিগুয়েল হেরেরার দল। এবারও স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করে মেক্সিকোকে ফাইনালে তুলে নেন গুয়ার্ডাডো। ম্যাচে মেক্সিকোকে দুই-দুটি পেনাল্টি উপহার দেন রেফারি। যুক্তরাষ্ট্রের রেফারি মার্ক গেইগারের পুরো ম্যাচেই মেক্সিকোর পক্ষে বাঁশি বাজান। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে রেফারির সিদ্ধান্তের জের ধরে দু’দলের খেলোয়াড়রা তর্কে জড়ালে প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে ১৭ মিনিট ইনজুরি সময় যোগ করা হয়। পেনাল্টি থেকে ইনজুরি সময়ের দশ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের পনের মিনিটের গোল দুটি করেন গুয়ার্ডাডো। এর আগে প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে স্ট্রাইকার লুইস টেজাডা সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় পানামা। এরপরও ৫৭ মিনিটে ডিফেন্ডার রোমান টোরেসের গোলে এগিয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পানামার স্বপ্নভঙ্গ হয়। মেক্সিকানদের ওপর ম্যারাডোনার ক্ষোভ অবশ্য নতুন নয়। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মেক্সিকান রেফারি এডগার্ডোর বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পেয়েছিল জার্মানি। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে স্পট কিক থেকে আন্দ্রেস ব্রেহমির করা একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনার হৃদয় ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি।
×