ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার ফুটবলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে চমক রহমতগঞ্জের

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৬ জুলাই ২০১৫

প্রিমিয়ার ফুটবলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে চমক রহমতগঞ্জের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুক্রবার ছিল লীগের বিরতি। শনিবার থেকে আবার গড়াল ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলের অষ্টাদশ রাউন্ডের খেলা। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে ‘অল রেডস’ খ্যাত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে ‘জায়ান্ট কিলার’, ‘আইলো’ এবং ‘ডাইলপট্টি’ খ্যাত রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল রহমতগঞ্জই। পয়েন্ট টেবিলে মুক্তিযোদ্ধা-রহমতগঞ্জের এখন যা অবস্থা, তাতে করে উভয় দলেরই লীগের শিরোপা জেতার আশা-সম্ভাবনা একেবারেই নেই। মুক্তিযোদ্ধাকে প্রথম পর্বের সাক্ষাতে ১-১ গোলে রুখে দেয়া রহমতগঞ্জ শনিবারের ম্যাচে যেন শিখিয়ে দিয়েছে কিভাবে বৃষ্টি ও কাদামাখা মাঠে ফুটবল খেলতে হয়। রেলিগেশনে পড়ার আশঙ্কা নেই মুক্তির, আবার লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও সুযোগ নেই; তাই মুক্তি শিবির নিশ্চিতভাবেই চেয়েছিল একটা জয় এবং পয়েন্ট টেবিলে সম্মানজনক অবস্থান। দ্বিতীয় লেগ শুরুর পর এ পর্যন্ত টানা ছয় ম্যাচ খেলে একটিও জয় পায়নি তারা! এর মধ্যে হেরেছে তিনটিতে, ড্র-ও করেছে তিনটিতে। কাজেই রহমতগঞ্জকে হারিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু সপ্তম ম্যাচেও তাদের জযের স্বপ্নটা অধরাই রয়ে গেল। তাদের সেই স্বপ্ন ব্যর্থ করে দিল পুরনো ঢাকার ক্লাবটি। নিজেদের ষোড়শ ম্যাচে এটা রহমতগঞ্জের তৃতীয় জয়। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে নবম থেকে অষ্টম স্থানে উঠে এলো তারা। আট ম্যাচ পর আবারও জয়ের স্বাদ পেল জায়ান্ট কিলাররা। সর্বশেষ হারিয়েছিল টিম বিজেএমসিকে, ১-০ গোলে। পক্ষান্তরে নিজেদের সপ্তদশ ম্যাচে এটা মুক্তিযোদ্ধার সপ্তম হার। ২২ পয়েন্ট নিয়ে আগের ষষ্ঠ অবস্থানেই রয়ে গেল তারা। শনিবার খেলার ৩১ মিনিটে কর্নার থেকে বল মুক্তির বক্সে পড়লে বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন মুক্তির ডিফেন্ডাররা। পেনাল্টি সীমানা থেকে সাইড ভলি করে মুক্তির বক্সে বল পাঠান রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড নূরুল আবসার (১-০)। ৬৩ মিনিটে সমতায় ফেরে আবু ইউসুফের শিষ্যরা। ডান প্রান্ত থেকে বদলি মিডফিল্ডার হাসানুজ্জামান কায়েসের উড়ন্ত ক্রসে জোরালো হেডে গোল করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড কামারা সার্বা (১-১)। ৬৭ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে মুক্তির বিপদসীমায় ঢুকে গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী টিটুকে পরাস্ত করেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড গিডিওন সলোমন (২-১)। ৮৬ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে আবারও মুক্তির জালে বল পাঠান সলোমন (৩-১)। তবে পরের মিনিটেই পেনাল্টি শটে ব্যবধান কমান মুক্তি অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড এনামুল হক (২-৩)। চলমান লীগে এটা এনামুলের দ্বাদশ গোল, যা চলমান লীগে দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এরপর ইনজুরি টাইমে মুক্তি আর কোন গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি। রেফারি তৈয়ব হাসান খেলা শেষের বাঁশি বাজালে মুক্তিবধের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে মাঠ ছাড়ে জায়ান্ট কিলার রহমতগঞ্জ।
×