ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাকাটা ইকোপার্কের বন্যপ্রাণীর খাবার সরবরাহ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২৬ জুলাই ২০১৫

সোনাকাটা ইকোপার্কের বন্যপ্রাণীর খাবার সরবরাহ বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৫ জুলাই ॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইকোপার্কে এক মাস ধরে বন্য প্রাণীর খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দর্শনার্থীদের ও স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় কিছু খাবার দেয়াতে ওরা বেঁচে আছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গছে, ইকো-ট্যুরিজম সুযোগ বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সখিনা বিটে ২০১১-১২ অর্থবছরে ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। টেংরাগিরি বনাঞ্চলের অভয়ারণ্যে ১০টি হরিণ, ২৫টি শূকর, ৩টি চিতাবাঘ, ২৫টি অজগর, ২টি কুমির, শতাধিক বানর ও দুটি সজারুসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। হরিণ, বাঘ, কুমির ও শূকরের জন্য প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করতে হয়। প্রতিবছর এ পশুদের খাবার সরবরাহ করে ঠিকাদার। জুলাই মাসে কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করেনি। ইকোপার্কের বন্য প্রাণীদের দর্শনার্থীদের দেয়া ও স্থানীয় বন বিভাগের কর্মচারীরা নিজস্ব উদ্যোগে কিছু খাবার সরবরাহ করছে। তা দিয়ে প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয় না। কুমিরের খাবার ১.২৫ কেজি মাংস, বাঘের খাবার সপ্তাহে পাঁচ কেজি মাংস, হরিণের খাবার মিষ্টি কুমড়া ও আলু ২৫ কেজি ও শূকরের খাবার ভাত, কুড়া, ভুষি ও কচু ৬৩ কেজি। এতে খরচ হয় প্রায় ২৫০০ টাকা। অর্থ সঙ্কটের কারণে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো জানান, জুন মাসে বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। নতুন অর্থবছরে কোন বরাদ্দ পাইনি। তাই জুলাই মাসে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এ বছর এখন পর্যন্ত কোন ঠিকাদারও নিয়োগ দেয়া হয়নি। পুলিশের স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ২৫ জুলাই ॥ মেহেরপুরে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। নিহতের নাম রুনা লায়লা (১৯)। সে স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানায়, নিহত রুনা লায়লা উপজেলার হাড়াভাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জনৈক রুহুল আমিনের মেয়ে এবং সহড়াতলা গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার কাজিবুল ইসলাম ডাবলুর স্ত্রী।
×