ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লা আদালতে গৃহকর্ত্রীর স্বীকারোক্তি

ডাকাত ঘোষণা দিয়ে হাত পা চোখ বেঁধে পায়ের রগ কেটে যুবক হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৭ জুলাই ২০১৫

ডাকাত ঘোষণা দিয়ে হাত পা চোখ বেঁধে পায়ের রগ কেটে যুবক হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৬ জুলাই ॥ মুরাদনগরে মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে শামসুদ্দিন মনির নামে এক যুবকের হাত-পা-চোখ বেঁধে ও অমানুষিক নির্যাতন করে পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত গৃহকর্ত্রী নাছিমা আক্তার রবিবার দুপুরে হত্যাকা-ের দায় স্বীকারসহ সহযোগীদের নাম উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ মনির হত্যাকা-ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার গভীর রাতে নাছিমা আক্তারকে তার মুরাদনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ডিবি পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই ভোরে মুরাদনগরের কাজিয়াতল গ্রামের ময়নাল হোসেনের বাড়িতে ডাকাত সন্দেহে একই গ্রামের শামসুদ্দিন মনিরকে (২৯) আটক করে মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে নির্যাতন চালিয়ে হাত-পা-চোখ বেঁধে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। পরে হত্যার চিত্র ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে ছেলে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে গৃহকর্তা ময়নাল হোসেন, আবদুল কুদ্দুস, মসজিদের ঈমাম আবুল হাছান, শরীফুল আলম ডালিম, রুহুল আমিন মোঃ শরীফ ও নজরুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ মসজিদের ইমাম আবুল হাছানকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদনগরের কাজিয়াতল গ্রামের বাড়ি থেকে ময়নালের স্ত্রী গৃহকর্ত্রী নাছিমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। ১৬১ ধারার বিধান মতে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে রবিবার তাকে কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রা চক্রবর্তীর আদালতে হাজির করা হলে নাছিমা আক্তার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে এবং তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকা-ের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। এর আগে গ্রেফতারকৃত মসজিদের ইমাম আবুল হাছানও ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে গৃহকর্ত্রী নাছিমাসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে।
×