ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৯ দিন পর সূচক কমল

পুঁজিবাজারে ৫০ ভাগ কোম্পানির দরপতন

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২৭ জুলাই ২০১৫

 পুঁজিবাজারে ৫০ ভাগ  কোম্পানির দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা নয় দিন সূচকের উত্থানের পর রবিবার দেশের পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। দুই বাজারেই সব ধরনের মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেনও কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। প্রসঙ্গত, ঈদের আগে থেকেই পুঁজিবাজারে উর্ধমুখী প্রবণতা ছিল। আর ঈদের ছুটির পরও তিন কার্যদিবস মূল্যসূচকের উত্থানে লেনদেন হয়েছিল পুঁজিবাজারে। এই সময়ে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ৪ হাজার ৫৬৫ থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৮০৮ পয়েন্ট পর্যন্ত ওঠে। আর লেনদেন ৪৮৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৮১৩ কোটি টাকা পর্যন্ত হয়। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবার ডিএসইতে ৭৫৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ৫৯ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ৭ শতাংশ কম। আগের দিন এ বাজারে ৮১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির শেয়ার দর। সকালে নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পর দিনশেষে প্রধান পুুঁজিবাজার ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৮৬ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৬ পয়েন্টে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবারে ডিএসইতে খাতওয়ারি লেনদেনের সেরা স্থান দখল করেছে জ্বালানি এবং শক্তি খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৯ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানি। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৩৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৪১ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতের। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ১০৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ০৩ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, এসিআই লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি, গ্রামীণফোন, শাশা ডেনিম, রেনেটা লিমিটেড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড, ফার কেমিক্যাল এবং বেক্সিমকো। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ বিডি ওয়েল্ডিং, বিডি ল্যাম্পস, ওলিম্পিক এক্সেসরিজ, প্রাইম ব্যাংক, জাহিন স্পিনিং, সাফকো স্পিনিং, সায়হাম কটন, ফার কেমিক্যাল ও মেঘনা সিমেন্ট। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ফার ইস্ট লাইফ, বিডি সার্ভিস, লিন্ডে বিডি, ইমাম বাটন, শ্যামপুর সুগার, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, বাটা স্যু, রিপাবলিক ও গ্রীন ডেল্টা। রবিবার ঢাকার মতো অপর বাজারেও ধরনের সূচক কমেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ১২০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ওলিম্পিক এক্সেসরিজ, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো, গ্রামীণফোন, বিএসআরএম লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও ইউনাইটেড এয়ার।
×