ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে ফলেছে কেমোথেরাপির বিকল্প করোসল

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২৭ জুলাই ২০১৫

নীলফামারীতে ফলেছে কেমোথেরাপির বিকল্প করোসল

তাহমিন হক ববি, নীলফামারী ॥ এ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল করোসল (পড়ৎড়ংংড়ষ) ধরেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ি গ্রামে ঔষধি ও ফলদ বৃক্ষের বাগানে। এই ফলের গাছ সংগ্রহ করা হয়েছিল আফ্রিকার আইভরিকোস্ট থেকে। ছয়টি গাছের মধ্যে একটি গাছে একটি ফল ধরেছে। প্রচার পাওয়ায় ওই ফলটি এক নজর দেখতে মানুষ ভিড় করতে শুরু করেছে বাগানে। দুই একর জমির উপর বাগানে করোসলসহ প্রায় মানবদেহের উপকারিতা এমন দুই শতাধিক ঔষধি ও ফলদ গাছ রয়েছে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে এই করোসল ফলের পক্ষে বিশেষজ্ঞদের একাধিক মতামত দেখতে পাওয়া যায়। অনেক দেশেই এই করোসল ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে আফ্রিকা, ভারতের উত্তর প্রদেশ ও শ্রীলঙ্কায় বেশি আবাদ হচ্ছে ফল। যা এখন বাংলাদেশেও পরিচিতির পাশাপাশি প্রসারতা লাভ করতে শুরু করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের অনেক এ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের ক্যান্সার রোগীকে অঙ্কলজি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কেমোথেরাপীর বিকল্প হিসেবে করোসল ফলটি কাঁচায় কেটে খাওয়াতে ভারত থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভারতে দুই শ’ গ্রাম ওজনের এই ফলটির মূল্য পড়ে সাড়ে ৯ শ’ রুপী। এটি ওই রোগীকে খাওয়ালে কেমোথ্যারাপির প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগীদের জন্য সু-সংবাদ হচ্ছে যে বালু মাটিতে করোসল ফলছে। বিশেষ করে উত্তারাঞ্চলে ব্যাপকভাবে করোসল চাষ করলে ক্যান্সার রোগীদের কেমোথ্যাপাপির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে আর হবে না। নীলফামারীর ওই গ্রামের ঔষধি ও ফলদ বাগানের মালিক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আলমাস রাইসুল গনি। এটি তার গ্রামের বাড়ি। তিনি সখের বশবর্তী হয়ে নিজ বসতভিটায় দুই শতাধিক বিভিন্ন জাতের ঔষধি ও ফলদ গাছ রোপণ করেছেন। বিভিন্ন দেশ ঘুরে চারা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে তিনি বাগানটি তৈরি করেন। সংগ্রহ করেন মানবদেহের উপকারী শতাধিক ঔষধি ফলদ গাছ। মানবদেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক করোসল গাছ ২০১১ সালে পশ্চিম আফ্রিকার আইভরিকোস্ট হতে সংগ্রহ করা হয়।
×