ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিমোনে বিলিসের চমক

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২৭ জুলাই ২০১৫

সিমোনে বিলিসের চমক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিক্রেট ইউএস ক্ল্যাসিকে শনিবার লড়াইয়ে নেমেছিলেন আমেরিকার আর্টিস্টিক জিমন্যাস্ট সিমোনে বিলিস। প্রতিযোগিতায় খুব সহজেই জয় পান তিনি। ১৮ বছর বয়সী এই তারকা এদিন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন গ্যাব্বি ডগলাস এবং এলি রাইসম্যানকে পরাজিত করেন। সিক্রেট ইউএস ক্ল্যাসিকের চার ইভেন্টের তিনটিতেই সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন তিনি। সব মিলিয়ে ৬২.৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ফলে ২০১৩ সাল থেকে অল-এ্যারাউন্ড প্রতিযোগিতায় টানা ৮ বার শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়েন সিমোনে বিলিস। তবে টুর্নামেন্টে প্রতিযোগিতায় নামার সময় খুবই নার্ভাস ছিলেন বলে জানিয়েছেন বিলিস। অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন গ্যাব্বি ডগলাস এবং রাইসম্যানকে হারানোর পর তো উচ্ছ্বসিত তিনি। এখন তার লক্ষ্য পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। সে জন্য যেটা জরুরী তা হলো আত্মবিশ্বাস। এ বিষয়ে বিলিস বলেন, ‘আমি খুবই বিচলিত ছিলাম। তবে জয়ের পরের অনূভুতিটা অন্যরকম। অবশ্যই অনেক ভাল। অথচ আগে এতটাই স্নায়ূচাপে ভুগছিলাম যে আমি কাঁপছিলাম। এই মুহূর্তে আমার যা প্রয়োজন তা হলো আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা। সেই সঙ্গে পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।’ ২০১৩ সালে সর্বশেষ মেজর কোন প্রতিযোগিতায় হার মেনেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন বিলিস। তরুণ প্রতিভাবান এই জিমনেস্টিকসের পারফর্মেন্সে মুগ্ধ ভক্ত-অনুরাগীরা। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়া গ্যাব্বি ডগলাসই ফেবারিট ছিলেন। কেননা তিনি ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকের অল-এ্যারাউন্ড চ্যাম্পিয়ন। সব মিলিয়ে ১.৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হন তিনি। তবে ডগলাস আনইভেন বারসে ঠিকই হারিয়ে দিয়েছিলেন। এই হারের পরও ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে তাকে। ইউএসএ জিমনেস্টিকস সাক্ষাতকারে ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমার ফিরে আসাতে কোন ধরনের ভুল ছিল না। এ পারফর্মেন্সের পর আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। নিজের প্রতি যথেষ্ঠ আস্থা আছে আমার। ২০১২ সালে যা করেছিলাম এখন তার চেয়েও বেশি করা উচিত আমার। যাই হোক এই অনুভূতিটা বিস্ময়কর। আমার জন্য ইতিবাচক।’ ইংলিশদের গর্বের নগরী লন্ডন অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছিল আমেরিকার জিমন্যাস্টিকস দল। আর সেই দলেরই অধিনায়ক ছিলেন রাইসম্যান। অল-এ্যারাউন্ড ক্ল্যাসিকে নিজের পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট তিনি। এ বিষয়ে প্রতিযোগিতার শেষে এক সাক্ষাতকারে রাইসম্যান বলেন, ‘আমাকে আরও উন্নতি করতে হবে। তবে এটা ঠিক যেভাবে পারফর্ম করেছি তাতে আমি নিজে খুব সন্তুষ্ট।’ গত অলিম্পিকের ট্রায়ালে সর্বশেষ ডগলাস এবং রাইসম্যান একত্রে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। দীর্ঘ তিন বছর পর এবারই প্রথমবারের মতো লড়াইয়ে নামেন তারা। তাদের সামনে এখন নতুন এক রেকর্ডের হাতছানি। ২০০০ সালের পর প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে ব্যাক-টু-ব্যাক ইউএস অলিম্পিক দলে খেলার রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে তারা। আগামী মাসে ইন্ডিয়ানাপোলিসে অনুষ্ঠিত হবে ইউএস জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। আর তাতে বাছাইয়ের চূড়ান্ত ইভেন্ট ছিল শনিবার। যদিওবা বিলিস, ডগলাস, নিকোলস এবং রাইসম্যান আগেই তাদের যোগ্য করে নিয়েছেন। তবে এদিন ডগলাস এবং রাইসম্যানকে হারানোর ফলে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত বিলিস। সেই সঙ্গে ফেবারিটের তকমাটাও তার গায়ে মাখানো থাকবে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দুইবার পদক জিতেছেন বিলিস। তরুণ প্রতিভাবান এই জিমন্যাস্টিকসের নতুন লক্ষ্য এখন আগামী অলিম্পিকে নিজেকে মেলে ধরা। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি। অলিম্পিকের পর বিলিসের পরিকল্পনা ইউসিএলএ অংশগ্রহণ করা।
×