ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৮ জুলাই ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

এবার শ্রাবণ তার নাম এবং মান দুটোই বজায় রেখে চলেছে। প্রতিদিনই তার দাপট দেখা যাচ্ছে। তবে লেখাই বাহুল্য যে, বাংলার শ্রাবণের বৈভব ও সৌন্দর্য সবচেয়ে মনোরম উপায়ে উপভোগ করা যায় কেবল গ্রামেই। আর সেই গ্রামে যদি কোন নদী থাকে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। ঈদে যারা গ্রামে গেছেন তাদের বিলক্ষণ ঈর্ষা করবেন অনেক রাজধানীবাসী। ঈদের পর পর কয়েকটা দিন ঢাকা কী দারুণ এক স্বস্তি-নগরীর রূপ নিয়েছিল। রাস্তাঘাটে ছিল না মানুষের প্রচ- ভিড়, ছিল না দুঃসহ যানজট। কোলাহল কলরব সব উবে গিয়ে ছিমছাম সুগম সুন্দর এক মহানগরী হয়ে উঠেছিল ঢাকা। যদিও যান-স্বল্পতার কারণে তিন দিনের ছুটি শেষে চতুর্থ দিন থেকে অফিসগামী মানুষ কিছুটা বিপাকে পড়েছেন কখনও কখনও, তবে সে বিপাক মধুরই বটে। বাসে সিট পাওয়া গেছে, বাদুড়ঝোলা ঝুলতে হয়নি। সিএনজিঅলাদের তোয়াজ করেও ভাড়ায় নেয়া যায় না অন্য সময়, অথচ এই ক’টা দিন রাস্তায় একজন যাত্রীকে গাড়িতে তোলার জন্য তারাই ছুটে এসেছে। আবাসিক এলাকাগুলোর ঘুম যেন আর টুটছিলই না। রাতের বেলা বহুতল ফ্ল্যাটের সামান্য কিছু ফ্লোরে আলো জ্বলেছে। অনেক এলাকায় রীতিমতো মাইকে সতর্কতামূলক ঘোষণা দিতে হয়েছে যাতে চোর সম্পর্কে মানুষ সজাগ থাকে। এলাকায় চুরি হচ্ছে এমন বার্তা প্রচার করা হয়েছে মাইকিং করে। গত সপ্তাহের লেখায় ঈদের ছুটির সময় আবশ্যিকভাবে দায়িত্ব পালনরত কয়েকটি পেশার মানুষের কথা বললেও বলতে ভুলে গেছি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যদের কথা। ঢাকাকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করা হয়ে ওঠেনি ঢাকার কয়েক হাজার পুলিশ সদস্যের। তাদের আমরা অন্তত ধন্যবাদ জানাতে পারি। ঢাকার মানুষ ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে আসতে শুরু করে ঈদের একদিন পর থেকেই। প্রায় সপ্তাহব্যাপী চলে এই কর্মস্থলে ফিরে আসার প্রক্রিয়া। ‘কর্মস্থল’ শব্দটি ইচ্ছা করেই ব্যবহার করা হয়েছে বাসাবাড়ির পরিবর্তে। একমাত্র ঈদ এলেই তো বোঝা যায় ঢাকার সিংহভাগ মানুষই ঢাকার বাইরে থেকে আসা। ঢাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ঢাকাতেই আপাতত স্থায়ীভাবে তাদের থেকে যাওয়া। যদিও শিকড় তাদের ঢাকার বাইরে, মফস্বল শহরে কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। বছরে অন্তত একটিবারের জন্য হলেও নাড়ির টানে সেখানেই ছুটে যাওয়া। ঢাকার মানুষগুলো ঢাকার বাইরে নিজ নিজ ঠিকানায় অল্প ক’দিনের জন্য গিয়ে সেই পুরনো দিনের মানুষটাতেই কি পরিণত হয় না? যিনি খুবই কঠোর বা রাশভারি, তিনিও স্বল্প সময়ের জন্য হলেও প্রথম ঢাকায় আসার আগের মন আর মেজাজ যেন ফিরে পান। যদি বলি অবয়বের ওপর সেঁটে বসা মুখোশখানি ক্ষণিকের জন্য হলেও খুলে পড়েÑ তাহলে ভুল বলা হবে না। আবার ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে ফিরতে সেই ঢাকার মানুষটির খোলসের মধ্যেই আবার একটু একটু করে তার প্রত্যাবর্তন ঘটতে থাকে। ইট-কাঠ-সিমেন্ট আর ধুলো-ধোঁয়া-যানজট এবং শব্দদূষণের এই শহরে ওই মানুষগুলোর পরিচয় সব পোশাকী বটে। পেশাগত কারণে যেমন তাদের ঢাকায় থাকা, তেমনি পেশাগত পরিচয়টাই সব পরিচয় ছাপিয়ে প্রধান হয়ে ওঠে। যাক, তবু তো কোটি মানুষের একটা উপলক্ষ আছে আপন দর্পণের সামনে দাঁড়ানোর। সেই দর্পণ তার আদি ও অকৃত্রিম ভেতরের মানুষটিকে এক লহমায় সামনে টেনে বের করে আনে। মানুষ আবার পরিপূর্ণ মানবিক হয়ে ওঠে। যা হোক, ঢাকার মানুষগুলো ঢাকায় ফিরেছেন বাসে, ট্রেনে ও লঞ্চে। ঠিক যেমন করে ঈদের আগে-আগে তারা গিয়েছিলেন আপন ঠিকানায়। তাদের এই দলবদ্ধ ও ভিড়াক্রান্ত প্রত্যাবর্তনের আলোকচিত্র সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে ক’দিন ধরে। ট্রেনের ছাদে ও জানালা-দরজা ঘিরে এত মানুষ অবস্থান করেছেন যে, ওই মানুষগুলোর মূল বাহনটিকে নজরেই পড়ে না! এভাবে চাপাচাপি ঠাসাঠাসি ভরভরান্ত হয়ে যানবাহনে চেপে আসা রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। পরম করুণাময়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা যে, ঈদে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন-পর্ব বিচিত্র ঝক্কি, ঝুঁকি আর ঝামেলা-দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে হলেও বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবার। নদী পারাপারের সময় ফেরিতে বাস ওঠার আগে হাজারো মানুষ উঠে পড়েছে, মোটে চারটে মাইক্রোবাস তাতে কোন রকমে স্থান করে নিয়েছেÑ এমন একটি ছবিও দেখলাম কাগজে। এ সবকিছুই আমাদের যানবাহনের স্বল্পতা, রাস্তাঘাটের সীমাবদ্ধতার চিত্রই তুলে ধরে। এবার ঈদ উপলক্ষে ঢাকা ত্যাগকারী মানুষের সংখ্যা ৭০ লাখ হবে বলে তথ্য পাওয়া গেছে গণমাধ্যমে। এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে, অল্প কয়েক দিনের ভেতর এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে নিজ নিজ গন্তব্যে সুষ্ঠু ও সুসংহতভাবে, মোটামুটি আরামপ্রদভাবে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেয়ার শক্তি ও সামর্থ্য আমরা এখনও অর্জন করে উঠতে পারিনি। কিন্তু অর্জনের চেষ্টাও যে আমাদের নেই, সেটাই অত্যন্ত বেদনার। সিরাজগঞ্জের একটা নির্দিষ্ট সড়ক-পয়েন্টে ফি-বছর দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হচ্ছে। এর একটা বিহিত আমরা করতে পারলাম না এত বছরে! সত্যি মাঝেমধ্যে বড় হতাশ লাগে। ফাঁকা ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনা রাজধানীতে হরহামেশা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে যেন আমরা অভ্যস্তই হয়ে গেছি। তবু কখনও কখনও কোন কোন দুর্ঘটনার ধরন আমাদের কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে ফেলে যেন। ঈদের পর প্রথম শুক্রবার ছুটির দিনে ভোরবেলায় একেবারে ফাঁকা ঢাকায় কুড়িল বিশ্বরোডে পোশাককর্মী এক তরুণীর দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যু আমাদের ব্যথিত করে তোলে। বাসের চালক হঠাৎ সজোরে ব্রেক করলে বাসের সামনের দিকে বসা যাত্রী নাসরিন আক্তার (১৯) সামনের কাঁচ ভেঙ্গে সড়কে পড়ে নিহত হন। নিহত নাসরিনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলায় বলে জানা গেছে। তিনি লঞ্চে এসে ভোরে ঢাকার সদরঘাটে নামেন। সেখান থেকে বাসযোগে টঙ্গী যাচ্ছিলেন। বসেছিলেন একেবারে সামনের মহিলা আসনে। বাসটি কুড়িল বিশ্বরোড উড়াল সড়কের নিচে পৌঁছনোর পর চালক হঠাৎ সজোরে ব্রেক করেন। এতে নাসরিন বাসের সামনের কাঁচ ভেঙ্গে সড়কে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই বাসের আরেকজন যাত্রী আহত হন। তাকেও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল সোহেল রানা। এটিকে হত্যাই বলা যায় সম্ভবত। দুপুর আড়াইটার দিকে কারওয়ান বাজারে এমআরএস ভবনের কাছে মিরপুরগামী যাত্রীবাহী একটি মিনিবাস তার মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোহেল রানা ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছিলেন। রাজধানীর বাস-মিনিবাসের বহুসংখ্যকেরই বৈধ লাইসেন্স নেই। হেলপার থেকে ‘প্রমোশন’ পেয়েই তারা ড্রাইভার। এদের হাতে যে পথচারী বা অন্য যানের আরোহীরা নিরাপদ নন, সে কথা আগেও বহু লোক বহুবার বলেছেন, লিখেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না কিছুতেই। আবার জেগেছে শাহবাগ বদর কমান্ডার কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায়ের আগেও এভাবে শাহবাগ জেগে উঠেছিল। আগামীকালই যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়। মানুষ অধীর অপেক্ষায়। আর শাহবাগ প্রতিদিনই অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায়। সাকার ফাঁসি বহাল রাখার দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার তার বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যা ছাপা হয় পরদিনই। গণজাগরণ মঞ্চ দেশের নেতৃবৃন্দসহ দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘আমরা ইতোপূর্বেও দেখেছি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের নানা কূটচালের আশ্রয় নিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে চেয়েছে। কখনওবা বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। এই রায়কে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধই হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব।’ অরক্ষিত অবসরযাপন কেন্দ্র রাজধানীর কোটি মানুষের চিত্তবিনোদন কেন্দ্রের বড়ই অভাব। তাই দর্শনীয় ও উন্মুক্ত জায়গা পেলেই সেখানে মানুষের ঢল নামে। হাতিরঝিল সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার পর থেকে সেটি হয়ে উঠেছে নগরবাসীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। অবশ্য সেখানেও প্রথম প্রথম বখাটেদের উৎপাত ছিল। বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কসরতও দেখা যেত। নিয়মিত টহল পুলিশের কারণে সেসব অনেকটাই কমে এসেছে। ক্যান্টনমেন্ট-মিরপুর উড়াল সড়ক চালু হওয়ার পর মিরপুর ডিওএইচএস-কালশী নতুন সড়কটিকে আরেকটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করেছে ঢাকাবাসী। কালশী থেকে মিরপুর ডিওএইচএস পর্যন্ত সংস্কার হওয়া নতুন রাস্তার পাশে কিছুটা ফাঁকা জায়গা এবং ঝিল থাকায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন। মিরপুর আর্মি ক্যাম্প ক্যান্টিন থেকে মিরপুর ডিওএইচএসের প্রবেশমুখ পর্যন্ত লোকজনের আনাগোনা বেশি। স্থানটি অনেকের কাছে ‘সাগুফতা’ নামেও পরিচিত। এখানে চটপটি-ফুচকা, আইসক্রিম, পপকর্নসহ নানা ধরনের খাবারের অন্তত ৫০টি অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। কিন্তু সেখানেও শুরু হয়েছে বখাটেদের উৎপাত ও বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালনা। এখনই যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া দরকার। ঢাকার বাড়িঅলাদের ছ’মাসে বছর! আমরা জানি নতুন ইংরেজী বছর শুরু হয় জানুয়ারিতে এবং অর্থবছর শুরু হয় জুলাইয়ে। ঢাকার বহু বাড়িঅলার কাছে দুটোই ভাড়া বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ। জানুয়ারিতে বার্ষিক ভাড়া বাড়ানো তো অবধারিত। আবার জুলাইয়ে সার্ভিস চার্জের নামে আরেক দফা তারা ভাড়া বাড়িয়ে থাকে। এই অন্যায়ের কি কোন প্রতিকার নেই? গত ১৫ বছরে ঢাকা শহরে বাড়িভাড়া বেড়েছে প্রায় ২শ’ থেকে ৩শ’ গুণ পর্যন্ত। ফলে নগরীতে বসবাসকারী শতকরা ৭০ ভাগ মানুষের আয়ের ৬০ শতাংশের বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে বাড়িভাড়া বাবদ। বাড়িভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকের মধ্যকার সমস্যা চিহ্নিত করা, এলাকাভেদে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণসহ সার্বিক বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরির জন্য সম্প্রতি একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত মনে করে, প্রচলিত বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন অনেকটাই কার্যকারিতা হারিয়েছে। তাই এ বিষয়ক বিদ্যমান আইনগুলো একত্র করে একটি বহুমাত্রিক ব্যাপক বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। ওই কর্তৃপক্ষের অধীনে সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে। কমিশনের প্রস্তাব অনুসারে সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেবে। ভাড়াটিয়ারা আশায় দিন গুনছেন। শান্তিনগরে পানকৌড়ি এই শ্রাবণে ঢাকার শান্তিনগর শান্তিতে নেই। শনিবার সন্ধ্যায় শান্তিনগর পোস্ট অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় চারদিক একটু তাকিয়ে দেখলাম। মনে হচ্ছিল এলাকাটি বন্যাকবলিত। একই সঙ্গে বুঝি ভাগাড়খানাও! আবর্জনার কন্টেনার রাখা রাস্তার উপরে; কোথায় যে খানাখন্দ লুকিয়ে আছে লুকানো মাইনের মতো! এটি কি একটি দেশের রাজধানীরই অংশ? মাইক্রোবাসে ছিলাম বলে রক্ষে, ছোট গাড়িতে থাকলে আটকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। কাগজে রিক্সাযাত্রীদের নাকাল হওয়ার ছবিটা মাথায় ছিল বলে চারদিক তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম। এখানে টুইন টাওয়ার নামে বেশ চালু একটা মার্কেট আছে। তার পেছনে পানকৌড়ি নামে একটা এ্যাপার্টমেন্ট। জলপ্রিয় পাখির নামে নাম বহুতল ভবনটির; এখন সেটি সত্যিই জলমগ্ন। আমার এক প্রবাসী বন্ধু ওখানেই আটকে পড়া। প্রাইভেটকার বের করার সুযোগ নেই বলে অনেকটাই গৃহবন্দী। সত্যিকারের যোগ্য কর্তৃপক্ষ থাকলে ২৪ ঘণ্টায় না হোক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই জলাবদ্ধতা থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা নিশ্চয়ই চালাত। ফি-বছর বাঁধা দুর্দশায় যাতে এলাকাবাসীকে পড়তে না হয় তার স্থায়ী বন্দোবস্তও কি করত না? ২৭ জুলাই ২০১৫ [email protected]
×