ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আসছে ই-সিম

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৮ জুলাই ২০১৫

আসছে ই-সিম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সিমকার্ডের দিন বুঝি শেষ হতে যাচ্ছে। কারণ বিকল্প হিসেবে ই-সিম বা ইলেক্ট্রনিক সিমকার্ডের বিষয়ে কাজ শুরু করেছে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী জায়ান্ট কোম্পানিগুলো। আর এতে সিমকার্ড ‘কফিনে’ ঢুকতে যাচ্ছে বলেই ধারণা তাদের। হ্যান্ডসেটের মধ্যে সরাসরি সিমকার্ড ব্যবহার না করে এতে ই-সিম ব্যবহারের বিষয় ইতোমধ্যে জিএসএমএর (গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল এ্যাসোসিয়েশন) সঙ্গে আলোচনা করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট এ্যাপল ও স্যামসাং। এতে গ্রাহকরা কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া সহজেই অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন বলে মনে করছে মোবাইল টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিত্বকারী জিএসএমএ। হ্যান্ডসেটের জন্য স্ট্যান্ডার্ড সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টি মডিউল) তৈরিতে চুক্তির বিষয়টি এখন ঘোষণা মাত্র বলে জানিয়েছেন জিএসএমএর প্রধান নির্বাহী এ্যানি বোভার্তো। প্রযুক্তি বিষয় সাইট টেকস্পটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে ই-সিম সংযুক্ত করা থাকবে। এক্ষেত্রে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকদের সিমকার্ডের জন্য আলাদা কোন স্পট দিতে হবে না। এ সংক্রান্ত কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোন আলোচনা না হলেও, আগামী প্রজন্মের ফোন হবে ই-সিমের সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যায়। মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২৫ বছর আগে আমূল পরিবর্তন এনেছে সিমকার্ড। সে সময়ের দীর্ঘাকৃতির হ্যান্ডসেটের আকার এখন অনেক ছোট হয়ে আসলেও তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি সিমকার্ডের আকারে। তবে বহু আগে ই-সিমের ধারণ দিয়েছিলেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিল্যায়ের ড. মার্কাস কুন। তিনি বলেছিলেন, শীঘ্রই মোবাইল নেটওয়ার্কে সিমকার্ডের পরিবর্তে পাসওয়ার্ড বা কিউআর কোড কিংবা থ্রিডিবার কোড স্থান করে নেবে। এক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড বা উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৯১ সালে জার্মানির স্মার্টকার্ড মেকার জিসিক্কি এ্যান্ড ডেভ্রিয়েন্ট সর্বপ্রথম ফিনিশ অপারেটর রেডিওলিঞ্জার কাছে তিন শ’টি সিম বিক্রি করে। প্রথম সিমকার্ড ক্রেটিড কার্ড আকৃতির হলেও পরে তার ছোট হয়ে আসে। বর্তমানে হ্যান্ডসেটগুলোতে মাইক্রো সিম ব্যবহৃত হলেও এ্যাপলসহ কয়েকটি কোম্পানির হ্যান্ডসেটে ন্যানো সিম ব্যবহৃত হচ্ছে, যা শীঘ্রই দখল করে নিচ্ছে ই-সিম।
×