ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার;###;জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আপীলের আদেশ আজ

তাহের ও ননী দবির নামে এক ব্যক্তিকে রাজাকার ক্যাম্পে হত্যা করে

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৮ জুলাই ২০১৫

তাহের ও ননী দবির নামে এক ব্যক্তিকে রাজাকার ক্যাম্পে হত্যা করে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের জরিমানার আদেশের বিরুদ্ধে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দায়ের করা আপীলের আদেশ আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার মোঃ ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৩তম সাক্ষী মোঃ আব্দুল হামিদ (৬২) তার জবানবন্দীতে বলেছেন, আসামি ননী ও তাহেরের নেতৃত্বে দবির নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে রাজাকার ক্যাম্পে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়, যা সাক্ষী নিজে দেখেছেন। পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্য আজ মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার আপীল বিভাগ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দায়ের করা আপীলের আদেশ আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। সোমবার আপীল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপীল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে জাফরুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এদিকে জাফরুল্লাহর আইনজীবী তৌফিক হোসেন জানান, আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তারা একটি আবেদন করতে যাচ্ছেন। এর আগে গত ১৬ জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে দেয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন আপীল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। ওই দিন জাফরুল্লাহর পক্ষে সংবিধানের ১০৪ ধারা অনুযায়ী করা আপীল আবেদনের শুনানির পর ট্রাইব্যুনালের দেয়া পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে ৫ জুলাই এই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। নেত্রকোনার দুই রাজাকার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেত্রকোনার রাজাকার মোঃ ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৩তম সাক্ষী মোঃ আব্দুল হামিদ (৬২) তার জবানবন্দীতে বলেছেন, আসামি ননী ও তাহেরের নেতৃত্বে দবির নামের এক ব্যক্তিকে রাজাকার ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, যা সাক্ষী নিজে দেখেছেন। দবিরকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। আজ মঙ্গলবার পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। সাক্ষীকে সাক্ষ্যগ্রহণে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল এবং প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার। প্রসিকিউশনের সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেছেন, আমার নাম মোঃ আব্দুল হামিদ (৬২)। আমার বাড়ি নেত্রকোনার টেংড়া গ্রামে। সাক্ষী বলেন, একাত্তরের ৪ অক্টোবর আমি নেত্রকোনা শহরের আখড়া মোড়ে একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলাম। এমন সময় দেখতে পাই আসামি ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীসহ রাজাকাররা দবির নামের এক লোককে বেঁধে ডাকবাংলোর দিকে নিয়ে যায়। আমি তাদের অনুসরণ করি। আমি দেখতে পাই রাজাকাররা তাকে নির্যাতন করছে। পরের দিন জানতে পারি ননী ও তাহের মোক্তারপাড়া ব্রিজের কাছে নিয়ে দবিরকে হত্যা করেছে। সাক্ষী আরও বলেন, আমি জানতে পারি, জেলগেটের সামনে থেকে রাজাকাররা ত্রিমোহনী ব্রিজের কাছে নিয়ে ২৭ লোককে হত্যা করেছিল। আসামিরা ডকে শনাক্ত।
×