ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজন হত্যা ॥ এবার জালালাবাদ থানার ওসি সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৮ জুলাই ২০১৫

রাজন হত্যা ॥ এবার জালালাবাদ থানার ওসি সাসপেন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে গাফিলতির দায়ে এবার জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে আলমগীরকে জালালাবাদ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্র জানায় আলমগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। রবিবার রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আদেশ আসার পর এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। এই ঘটনায় এর আগে একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদিকে, শিশু রাজন হত্যাকা-ের মামলা অঙ্কুরে বিনষ্ট ও প্রধান ঘাতক কামরুলকে দেশত্যাগে সহায়তার অভিযোগে জালালাবাদ থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে জালালাবাদ থানার এসি এইচএম কামরুলের নাম এসেছে। তবে তিনি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। পুলিশের তদন্তে তার নাম আসেনি। অভিযোগ পাওয়া গেছে থানার ওসি আক্তার হোসেনের অবর্তমানে থানায় অবস্থান করে পুরো বিষয়টি সেদিন তদারকি করেছিলেন এসি কামরুল। তার নির্দেশেই ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন এসআই আমিনুলের দেয়া কৌশলী এজাহারটি এফআইআর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, হত্যাকা- ও পুলিশ কর্তৃক লাশ মর্গে প্রেরণের খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় রাজনের পিতা শেখ আজিজুল ইসলাম মামলার এজাহার নিয়ে থানায় যান। এ সময় থানার ওসি আকতার হোসেন একটি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে সিলেটের বাইরে ছিলেন। রাজনের পিতা ঘাতক কামরুলসহ তার সহযোগী চারজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দিলে এসি কামরুল নিজেই তাকে বলেন মামলা হয়ে গেছে। এ সময় রাজনের পিতা মামলার জন্য চাপাচাপি করতে থাকলে এসি কামরুলের নির্দেশেই রাজনের পিতাকে ঘাড় ধরে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়। পরদিন ৯ জুলাই ওসি আকতার থানায় ফিরে ডিউটি অফিসার জবাকে দিয়ে রাজনের পিতার এজাহারখানা রিসিভ করার ফলে তদন্তে পিতার এজাহার মামলায় সংযুক্ত হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হলে রাজন হত্যা মামলা নিয়ে গাফিলতি ও অনিয়মের অনেক বিষয় বেরিয়ে আসবে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।
×