ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে ঢাকা মৌলিক নাট্যদলের

‘অঙ্কুুর’ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী আজ

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৮ জুলাই ২০১৫

‘অঙ্কুুর’ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাট্যজন কাজী রফিক রচিত এবং সাজু আহমেদ নির্দেশিত ঢাকা মৌলিক নাট্যদলের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘অঙ্কুর’ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে আজ মঙ্গলবার। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়ন হবে নাটকটি। গত ১১ জুন একই মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। ‘অঙ্কুর’ নাটকে সমসাময়িক রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় হাস্য রসাত্মকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আজ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন ওহী চৌধুরী, অলিউল্লাহ অলি, মনি বেগম, জাভেদ, নিলয় রহমান, জিএম স্পর্শ, নিপা, সাজু আহমেদ, হিরা, অপু, তুষার খান, ফারুক, ইমরান, পরান, হিমেল, রাহাত, রানা মল্লিক প্রমুখ। নাটকের সঙ্গীত পরিচালনায় হাসান সিদ্দিকী, কোরিওগ্রাফি করেছেন নিলয় রহমান, পোশাক মনি বেগম, সেট ডিজাইন করেছেন অলি উল্লাহ অলি। নাটকের গল্পে দেখা যাবে রূপবানরূপী এক নারীর বেঁচে থাকার সংগ্রামের চিত্র। গ্রামের এক গরিব চাষার ঘরে রূপবানের জন্ম। কিন্তু মেধাবী। চাষার ঘরে জন্ম হলেও সব ছিল রূপবানের। ধানী জমি, থাকার ঘর। পুকুর ভরা মাছ। এক সময় দিন বদলায়। নদী ভাঙ্গনের পর সুদের কারবারীদের খপ্পরে পরে তার পরিবার। সুদের দেনায় জমি যায় মাতবরের কবজায়। বাড়ি যায়, মাথা গুজনের ঠাঁইও যায়। রাইত দুপুরে বাড়ির বেড়া কেটে তুলে নিয়ে যায় কিশোরী রূপবানকে। আট দশজন পশু ছিন্ন ভিন্ন করে কচি দেহ। মোল্লা পুরুতের ফতোয়া বাজিতে গ্রাম ছাড়া হয়। বস্তির ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে ধুঁকে ধুঁকে মরে। বিয়ের লোভ দেখিয়ে বেচাকেনা করে শরীর। তারপর সে হয় অন্ধকার জগতের বাসিন্দা। তবে রূপবতী রূপবানের প্রশংসা ছড়িয়ে পরে চারদিকে। আস্তানায় হাজির হয় জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রিয় কবি, এমনকি স্বয়ং একজন মোল্লাও। তাদের তিনজন নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নামে রূপবানকে একাই ভোগ করার জন্য। রূপবানের আশ্রিতা পরি। সে ভালবাসে আরেক আশ্রিত প্রহরীকে। যে রূপবানের নষ্ট জীবনকে ঘৃণা করে কিন্তু সে ভালবাসে রূপবানকে। কারণ জন্মের পর থেকে সে তাকেই কেবল চেনে। একসময় রাজনৈতিক নেতা, কবি আর মোল্লার ঔরশে রূপবানের গর্ভে জন্ম নেয় এক অঙ্কুর। কিন্তু সে অঙ্কুরের দায়-দায়িত্ব কেউ স্বীকার করতে চায় না। অবশেষে ওই তিনজন সিদ্ধান্ত নেয় রূপবানের গর্ভের অঙ্কুরকে নষ্ট করার। কিন্তু বাদ সাধে কবি। সে রূপবানের গর্ভের অঙ্কুরকে বাঁচাতে চায়। কারণ সে মনে করে বর্তমান নষ্ট সমাজের জন্য তার জন্ম হওয়াটা জরুরী। কারণ সে বিশ্বাস করে ওর মাঝে পুঞ্জীভূত হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তি, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং ধর্মীয় উদারতা। ও হয়ত জন্ম নেবে সব নষ্টদের ধ্বংস করতে। সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে হয়ত সেই হবে আগামী প্রজন্মের তুখোর নেতা। এমনই স্বপ্ন দেখে কবি। কিন্তু কবিকেই মৃত্যুবরণ করতে হয় রাজনৈতিক নেতা এবং মোল্লার প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে। অবশ্য ততক্ষণে তারা টের পায় রূপবানের গর্ভের সন্তান পৃথিবীতে এসেছে।
×