ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইজিসিসিতে কবিতা গানের যুগলবন্দীতে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৮ জুলাই ২০১৫

আইজিসিসিতে কবিতা গানের যুগলবন্দীতে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (আইজিসিসি) গুলশানের লাইব্রেরি ভবন মিলনায়তনে শনিবার অনুষ্ঠিত হলো গান-কবিতার যুগলবন্দীতে ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠান। বৃষ্টি বিষয়ক রচনাবলি দিয়ে সাজানো অনুষ্ঠানে সুর আর কণ্ঠের মাধুর্যে উচ্চারিত হলো রবীন্দ্রনাথের অমর পঙ্ক্তিমালা। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন কলকাতার শিল্পী দোলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আবৃত্তি করেন বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পী বেলায়েত হোসেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই দর্শক-শ্রোতায় মিলনায়তন পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বিপুল সংখ্যক দর্শক শ্রোতার উপস্থিতিতে শুরু হয় যুগলবন্দী আয়োজন। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বাকশিল্পী বেলায়েত হোসেনের ভরাট আবৃত্তির মাধ্যমে। শুরুতেই তিনি আবৃত্তি করেন ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এলো বান’ কবিতাটি। এরপর সঙ্গীত পরিবেশন করে দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবেশনার শুরুতেই গেয়ে ওঠেন প্রকৃতিবিষয়ক গান ‘বাদল-বাউল বাজায় রে একতারা’। এরপর তিনি একে একে গেয়ে যান রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আজ ধানের ক্ষেতে’, ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’, ‘শ্যামল ছায়ায় নাইবা গেলে’ ইত্যাদি রবীন্দ্রসঙ্গীত। আর বেলায়েত হোসেনও আবৃত্তি করেন বৃষ্টির কথা। এভাবে আবৃত্তি আর গানে কেটে যায় দু’ঘণ্টাব্যাপী শ্রাবণসন্ধ্যায় মনোমুগ্ধকর যুগলবন্দী রবীন্দ্র আসর। কখনও আবৃত্তি, কখনও গানে গোটা সন্ধ্যাটি হয়ে ওঠে মোহময়। অনুষ্ঠানে শিল্পী দোলা যখন গাইছিলেন বর্ষার গান। তখন মিলনায়তনের বাইরে ঝরছিল শ্রাবণের বারিধারা। চমৎকার এ আয়োজনে শিল্পীদেরকে বাঁশিতে সঙ্গত দেন গাজী আবদুল হাকিম, তবলায় সুবীর ঘোষ ও কী-বোর্ডে রবিন্স চৌধুরী।
×