ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আরও ১৫ কোটি টাকা প্রয়োজন

যশোরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের কাজ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৮ জুলাই ২০১৫

যশোরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের কাজ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভবন নির্মাণে বরাদ্দকৃত টাকা শেষ হলেও নির্মাণকাজের অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করতে হলে এখনও প্রায় ১৫ কোটি টাকার প্রয়োজন। এ টাকা বরাদ্দের জন্য গণপূর্ত বিভাগ নতুন করে খরচের পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে কবে নাগাদ এ টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যে কারণে গত এক বছর ধরে যশোর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, ২০০৯ সালে দেশের সব জেলায় একটি করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে ২০১১ সালে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে যশোরে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সে লক্ষ্যে যশোরে ভবন নির্মাণের কাজও শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়ার পর প্রকল্পের নকশা বদল ও অর্থাভাব দেখা দেয়ায় নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। যশোর গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় গৃহায়ন মন্ত্রণালয় যশোর গণপূর্ত বিভাগকে ‘চীফ জুডিশিয়াল ভবন’ নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা মোতাবেক যশোর গণপূর্ত বিভাগ দরপত্র আহ্বান করলে ফরিদপুরের আব্দুস সালাম ঠিকাদার ১৩ কোটি টাকার এ নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান। ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যশোর গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ৩০ মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ২০ মার্চ জমি হস্তান্তর করে কার্যাদেশ দেয়া হয়। ওই সময় ভবন নির্মাণের কার্যাদেশে ছিল, ছয়তলা ফাউন্ডেশন করে চারতলা পর্যন্ত সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়ার কিছুদিন পর সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ফাউন্ডেশন চারতলার পরিবর্তে ১২ তলা করে ছয়তলা সম্পন্ন করতে হবে। এতে ভবন নির্মাণে প্রায় দ্বিগুণ অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাড়তি টাকার বরাদ্দ না নিয়েই গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা ঠিকাদারকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়। ফলে নির্মাণকাজের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ না হতেই বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে বাড়ি চলে গেছেন ঠিকাদার। সেই থেকে এক বছর ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। যশোর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফয়সাল আলম বলেন, ভবনের বাকি কাজ শেষ ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন নির্মাণ, লিফ্ট এবং অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ করতে এখনও প্রায় ১৫ কোটি টাকা প্রয়োজন। নতুন করে এ টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
×