ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাদ্দাফির ছেলে সাঈফের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৯ জুলাই ২০১৫

গাদ্দাফির ছেলে সাঈফের মৃত্যুদণ্ড

লিবিয়ার প্রয়াত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাঈফ আল-ইসলামসহ সাবেক আরও ৭ কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ২০১১ সালের শান্তিপূর্ণ গণবিক্ষোভ দমন এবং যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের এ দণ্ড দেয়া হয়েছে। খবর ওয়েবসাইটের। মঙ্গলবার লিবিয়ার আদালত সাঈফ আল ইসলামের অনুপস্থিতিতেই তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। তার সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে আছেন গাদ্দাফি আমলের গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ আল সেনুসি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাগদাদী আল মাহমুদি। ত্রিপোলির রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি কার্যালয়ের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা সাদিক আল-সুর একথা জানিয়েছেন। আল নাবা টিভির এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, সাবেক আরও ৮ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং অন্য আরও ৭ জনের প্রত্যেককে ১২ বছরের জেল দিয়েছে আদালত। ৪ জন খালাস পেয়েছে। সাঈফ ছাড়া অন্য সবাই বিচার বিভাগীয় কাস্টডিতে আছে। সাবেক একটি বিদ্রোহী দল সাঈফকে জিনটান শহরে আটকে রেখে তাকে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় ভিডিও লিংকের মাধ্যমে। যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য সাঈফ আল ইসলামকে বিচারের জন্য চায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও। ইরাক যাওয়ার চেষ্টা, অস্ট্রেলীয় নাগরিক অভিযুক্ত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে কুর্দি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে ইরাক যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে মেলবর্নের বাসিন্দার বিরুদ্ধে। এর ঠিক এক সপ্তাহ আগে এক অস্ট্রেলীয় নাগরিক এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে গিয়ে নিহত হয়েছে। খবর এএফপির। জামি উইলিয়ামের (২৮) বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকা-ে জড়িত হওয়ার উদ্দেশ্যে এক বিদেশী রাষ্ট্রে প্রবেশে প্রযুক্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করা হবে। মেলবর্নের বাসিন্দা রীস হার্ডিংয়ের (২০) অন্ত্যেষ্ট্রিক্রিয়া অনুষ্ঠানের ঠিক দুদিন পর মঙ্গলবার জামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। হার্ডিং জঙ্গী আইএস গ্রুপের বিরুদ্ধে কুর্দিদের পক্ষে লড়াই করার সময় এক ভূমি মাইনে নিহত হয়।
×