ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া এ্যাশেজের তৃতীয় টেস্ট শুরু আজ

এজবাস্টনে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৯ জুলাই ২০১৫

এজবাস্টনে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এজবাস্টনে এ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু আজ। কার্ডিফের প্রথম ম্যাচে ১৬৯ রানে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টেই ৪০৫ রানের বড় জয়ে সমতা ফেরায় অস্ট্রেলিয়া। এবার এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। এজবাস্টনের ম্যাচটি তাই দু’দলে জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বরাবরের মতো চলতি এ্যাশেজেও চলছে কথার লড়াই। ইংলিশ পেসার মার্ক উড বলেছেন, প্রতিপক্ষ ওপেনার ক্রিস রজার্সের জন্য গতি ও বাউন্সের পসার সাজাতে তৈরি তিনি। জবাবে অসি গতি তারকা মিচেল স্টার্কের খোঁচা, পিচ যেমনই হোক, ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত সফরকারীরা। সব মিলিয়ে এজবাস্টন টেস্ট ঘিরে বইছে বাড়তি উত্তাপ। দ্বিতীয় টেস্টে ৪০৫ রানের লজ্জাজনক হারের পর পিচ নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা। অধিনায়ক এ্যলিস্টার কুক ও কোচ ট্রেভর বেইলিসের চাহিদা মতো লর্ডসে ব্যাটিং সহায়ক পিচ বানানো হয়েছিল। ক্রিস রজার্সের ১৭৩ ও স্টিভেন স্মিথের ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির (২১৫) ওপর ভর করে ৫৬৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া, অথচ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। এজবাস্টনে এখন বোলিং পিচ চাইছেন কুকরা! মূল বিষয় হলো সময় খারাপ গেলে, ব্যাটিং-বোলিং কোনটাই ভাল হয় না। বড় হারের পর তাই ইংল্যান্ড দলে নিশ্চিত পরিবর্তন আসছে। ব্যাটসম্যান গ্যারি ব্যালান্সের জায়গায় নেয়া হয়েছে জনি বেয়ারস্টোকে। ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তনের কথা ভাবছেন থিঙ্কট্যাঙ্করা। তিন নম্বরে ইয়ান বেল ও চারে নামানো হতে পারে জো রুটকে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দল আছে মধুর সমস্যায়। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওপেনার ক্রিস রজার্স। প্রস্তুত ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন শন মার্শ। ব্যক্তিগত ছুটি কাটিয়ে দলের সঙ্গে ব্র্যাড হ্যাডিন, তার পরিবর্তে লর্ডসে অভিষেকে আলো ছড়িয়েছেন পিটার নেভিল। কাকে রেখে কাকে খেলাই এই অবস্থায়- কোচ ড্যারেন লেহম্যানের। তবে অফ ফর্মে থাকা হ্যাডিনের পরিবর্তে উইকেটের পেছনে নেভিলের খেলাটা নিশ্চিত বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। ব্যাট হাতে ৪৫ রান করার পাশাপশি কিপিংয়ে ৭ ক্যাচ নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এই ভিক্টোরিয়ান। ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য ফর্মে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। প্রস্তুতি ম্যাচে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও। বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে তছনছ করতে প্রস্তুত থ্রি মিচেল জনসন, স্টার্ক ও মার্শ! এজবাস্টন ম্যাচ নিয়ে এত বেশি আলোচনার কারণ আগের দুই ম্যাচের চিত্র। গতবার ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে এ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছিল মাইকেল ক্লার্কের দল। এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে নিশ্চিত ফেবারিট হিসেবে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমায় তারা। কিন্তু হেরে বসে প্রথম টেস্টে! কার্ডিফে দারুণ ক্রিকেট খেলে বদলে যাওয়া তারুণ্যনির্ভর ইংলিশরা। লর্ডসেই আবার চিরচেনা রূপে দুর্দান্ত প্রতাপে ফিরে আসে অসিরা। ঐতিহাসিক সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব অনেক। তাই বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের দৃষ্টি থাকবে এই টেস্টে। এজবাস্টনে কুকের বাউন্সি উইকেট চাওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে অলরাউন্ডার মঈন আলি বলেছেন, ‘জনসনের বল খেলতে আমরা মোটেই ভয় পাই না।’ জবাবে স্টার্কের খোঁচা, ‘লর্ডসে দ্বিতীয় ইনিংসে জনসনের যে বলে মঈন আউট হয়েছিল, চাইলে সেই বলের ভিডিওটি ও বার বার দেখতে পারে, আর মনে মনে প্রার্থনা করতে পারে দ্বিতীয়বার যেন এমন বলের মুখোমুখি না হয়!’ এজবাস্টনে বাউন্সি উইকেট পক্ষান্তরে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সুসংবাদ বয়ে আনবে বলেও মনে করেন দলটির বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। স্টার্ক আরও যোগ করেন, ‘ওরা বোলিং-সহায়ক পিচ বানাবে, আর আমরা জিব চাটতে থাকব। লর্ডসে ল-ভ- হওয়ার পর ইংল্যান্ড আসলে কি চায়, সেটি ওরা নিজেরই জানে না। ওরা সেখানে ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট চেয়েছিল, কিন্তু সাহায্য পায়নি। এবার বোলিং সহায়ক চাইছে। কিন্তু আমাদের পেসাররাও বসে থাকবে না। জনসন-স্টার্ক, হ্যাজলউড-মার্শ নামগুলোই ভয় ধরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট!’
×