ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাফুফে একাডেমিতে ৩২ ফুটবলার

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৯ জুলাই ২০১৫

বাফুফে একাডেমিতে ৩২ ফুটবলার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়সভিত্তিক পর্যায়ে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বাফুফের ফুটবলার বাছাই প্রক্রিয়া চলছিল বেশ কয়েক মাস ধরেই। ঢাকায় ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সিলেট একাডেমির অনুর্ধ ১৬ দলের জন্য সর্বশেষ ৩২ ফুটবলার বাছাই করেছে বাফুফে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট একাডেমির উদ্যেশে যাত্রা করে এসব কিশোর ফুটবলাররা। ফুটবলারদের গড়ে তোলার জন্য বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্দেশ্যে, বাফুফের উদ্যোগে সিলেটে দেশের প্রথম ফুটবল একাডেমি চালু হয়েছে। সে জন্য দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে ফুটবলার খুঁজে বের করে, ঢাকায় ক্যাম্প করে সিলেট একাডেমির অনুর্ধ ১৬ দলের জন্য ৩২ ফুটবলার বাছাই করেছে বাফুফে। আর স্বপ্নবাজ কিশোর ফুটবলারদের সংকল্পÑ সুযোগটা যথাযথভাবে কাজে লাগাবে তারা। ক্যাম্পে থাকা তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন বাফুফে কোচরাও। পাশাপাশি দেশের ফুটবল উন্নয়নে সিলেট একাডেমি দারুণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তারা। দেশের মাটিতে এ বছর অনুষ্ঠিত হবে সাফ ও এফসি অনুর্ধ ১৬ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ ধরনের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে সিলেট একাডেমি কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। গত বছরের নবেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে উদ্বোধন হয় বাফুফে ফুটবল একাডেমির। সিলেটের খাদিমনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের পাশে কল্লগ্রামে অবস্থিত বহুল আলোচিত এই ফুটবল একাডেমিটি অবস্থিত। দারুণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নিরিবিলি পরিবেশ আছে এই ফুটবল একাডেমিতে। এখানেই পরিচর্যা করা হচ্ছে ৪০ ক্ষুদে ফুটবলার। যাদের ২০ জন হচ্ছে অনুর্ধ ১৩ এবং বাকি ২০ জন হচ্ছে অনুর্ধ ১৭ বয়সী। বেড়ে উঠবে বাংলাদেশের আগামী দিনের ফুটবল তারকারা। ১৩ একর জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই ফুটবল একাডেমিতে আছে ২টি ফুটবল মাঠ, ১টি লন টেনিস কোর্ট, ১টি জিমনেশিয়াম, ১টি সুইমিংপুল ও ৮২ কক্ষবিশিষ্ট ১টি আবাসিক হল। ফুটবলে যেসব দেশ উন্নত, তাদের রয়েছে ফুটবল একাডেমি। আশ্চর্য হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও বাংলাদেশে এ ধরনের কোন একাডেমি ছিল না! অবশেষে বিলম্বে হলেও ফুটবল একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের স্বপ্নÑ ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। এই একাডেমিতে অনুর্ধ ১৩, ১৫ ও ১৭ এবং ১৭ ক্যাটাগরির ফুটবলারদের গড়ে তোলা হবে। শেষের ক্যাটাগরির ফুটবলারদের গড়ে তোলা হবে জাতীয় দলে খেলার লক্ষে। অনুর্ধ ১৭ দলটি এশিয়ান গেমসের জন্য এবং অনুর্ধ ১৫ দলটি ভবিষ্যতে বিশ্বকাপে খেলবে। যেটি সালাউদ্দিনের স্বপ্ন। ২০১২ সালের ৬ মার্চ ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার ঢাকায় এসে বাফুফেকে একাডেমি তৈরি করতে সহায়তার নিশ্চয়তা দিয়ে যান। ফিফার তিন নম্বর ‘গোল প্রজেক্ট’-এর অধীনে বাফুফে পায় ছয় লাখ ডলার। এরপরও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) বরাদ্দ সঙ্কট, তাদের চরম অসহযোগিতা ও ধীরগতির কারণেই বার বার পিছিয়ে পড়ছিল সিলেট একাডেমি বাস্তবায়নের কাজ। বাফুফের চার কোচ আব্দুর রাজ্জাক, আবু রাহেল, সৈয়দ গোলাম জিলানী ও মাহবুব হোসেন রক্সির অধীনে এই ৪০ ফুটবলারের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
×