ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চেলসির কাছে বার্সিলোনার হার

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ৩০ জুলাই ২০১৫

চেলসির কাছে বার্সিলোনার হার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত মৌসুমটা দারুণ কেটেছে বার্সিলোনার। কিন্তু প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি পর্বেই ভিন্ন চেহারা স্প্যানিশ জায়ান্টের। কেননা দুই দিন আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হারের ক্ষতটা এখনও তরতাজা। সেই ঘা শুকানোর আগে এবার বার্সিলোনাকে আঘাত করল চেলসি। মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নস কাপে জোশে মরিনহোর চেলসি টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে লুইস এনরিকের দলকে। নির্ধারিত সময় শেষে ২-২ গোলে খেলা ড্র হলে পেনাল্টি শূটআউটে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়। লুইস সুয়ারেজের গোলের পর সান্দ্রো রামিরেজ গোল করেছিলেন। দুটোই দ্বিতীয়ার্ধে। ইডেন হ্যাজার্ডের অসাধারণ গোলে অবশ্য প্রথমে এগিয়ে যায় চেলসি। কিন্তু গ্যারি কাহিলের গোলটাই সর্বনাশ করল বার্সার। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত জোশে মরিনহোর দলের কাছে হার মানতে হলো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। তবে এই ম্যাচের প্রকৃত নায়ক গোলরক্ষক থিবাত কুরতোইস। জেরার্ড পিকের দুর্দান্ত একটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি। হালিওভিকের মারা বল বারে লেগে ফিরেছে। আর লইক রেমি করেছেন পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি। স্প্যানিশ লা লিগায় রিয়ালের জার্সিতে রাজত্ব করেই চেলসিতে যোগ দেন জোশে মরিনহো। যে কারণে বার্সিলোনা সম্পর্কে যথেষ্টই ধারণা রাখেন স্পেশাল ওয়ান। তাই প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচেও নিজের দলটাকে সেরা করে সাজান। তার একাদশে ছিল হ্যাজার্ড, কুরতোইস, দিয়েগো কোস্তা, চেস ফ্যাব্রেগাস, অস্কার, নেমানজা মাতিচ, ব্রানিসøাভ ইভানোবিচ, কাহিল ও সিজার আজপিলিকুয়েতা। অন্যদিকে লিওনেল মেসি, নেইমার বিহীন বার্সিলোনা স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল ছিল। জেরার্ড পিকে, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জর্ডি আলবা ও পেদ্রোর মতো খেলোয়াড়রা ছিলেন সাইড বেঞ্চে। সুয়ারেজ, ইভান রাকিটিচ, সার্জিও বুস্কেটস ও জেরেমি ম্যাথিউ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একাদশের খেলোয়াড় এনরিকের। প্রিয় শিষ্য ইডেন হ্যাজার্ডকে একদিন আগেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চেয়ে ভাল বলেছিলেন মরিনহো। সেই হ্যাজার্ডই প্রথম আক্রমণটা করেন বার্সিলোনার বিপক্ষে। ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটে হ্যাজার্ডের গোলেই উদযাপন শুরু করে চেলসি। সুয়ারেজ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন সমতায় ফেরানোর। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। যে কারণে প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল চেলসিই। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে সুয়ারেজের গোলেই সমতায় ফিরে বার্সা। ৬৬ মিনিটে রামিরেজ গোল করলে জয়ের স্বপ্নই দেখতে শুরু করে কাতালানরা। কিন্তু তা হতে দেননি কাহিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক ৫ মিনিট আগে চমৎকার এক গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শূটআউটে। আর সেখানেই ইউরোপ সেরাদের হারিয়ে শেষের হাসি হাসে ব্লুজরা।
×