ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ ডেকে আনবে বিপর্যয়

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ৩০ জুলাই ২০১৫

ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ ডেকে আনবে বিপর্যয়

ইউক্রেন এবং জর্জিয়ায় ন্যাটোর সম্প্রসারণ ইউরোপের জন্য ‘চরম বিপর্যয়কর পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে। মস্কো-পাশ্চাত্য সম্পর্ক যখন স্নায়ুযুক্ত পরবর্তী যুগের মধ্যে নিম্নমাত্রায় পৌঁছেছে সে সময় ন্যাটোতে রাশিয়ার দূত এই হুঁশিয়ারি দিলেন। এদিকে রবিবার রাশিয়া তার সীমান্তের কাছে সামরিক অবকাঠামো সরিয়ে আনার ন্যাটোর ‘অগ্রহণযোগ্য’ প্রয়াস প্রতিরোধে একটি নতুন নৌ-কৌশল নীতি ঘোষণা করেছে। খবর এএফপি ও টেলিগ্রাফের। ন্যাটোতে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি আলেকজান্ডার গ্রুশকো লাইফ নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘জর্জিয়া ও ইউক্রেনে ন্যাটোর সম্প্রসারণের যে কোন কূটকৌশল সমগ্র ইউরোপের জন্য সবচেয়ে গুরুতর, সবচেয়ে গভীর ভূরাজনৈতিক পরিণতির ঝুঁকিতে পূর্ণ।’ রুশ চ্যানেলকে তিনি বলেন, আমি আশা করি ব্রাসেলসও অন্য রাজধানীগুলো এসব অপকৌশলের বিপদ, কিছু শক্তির এখনও তাদের অভিসন্ধি নিয়ে খেলার অপপ্রয়াসের বিপদ পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করবে। গ্রুশকো আরও বলেন, ন্যাটোর সম্প্রসারণ ইউক্রেনের জন্যও বিপর্যয়কর হবে। সেখানে গত বছর থেকে সংঘাতময় পরিস্থিতি মস্কোপন্থী বিদ্রোহীদের ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখি করেছে। গত মার্চে মস্কোর ক্রিমিয়া দখল এবং পূর্ব ইউক্রেনের পরবর্তী সহিংসতা ইতোমধ্যে ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে এবং একে অপরকে সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য দোষারোপ করেছে। গ্রুশকো সৈন্য মোতায়েন এবং তাদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের কাছে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইউরোপে একটি লৌহ যবকিনা গড়ে তোলার জন্য ন্যাটোকে দোষারোপ করেন। সামরিক জোটটি (ন্যাটো) বলেছে, মস্কোকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যেই মহড়ার ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বছরের গোড়ার দিকে ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে ছয়টি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা জোরদার এবং ৫ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী মোতায়েনে সম্মত হয়। সংস্থাটি ওই অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। যাবজ্জীবনই বহাল থাকছে রাজীব হত্যাকারীদের ফাঁসি হচ্ছে না ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর তিন হত্যাকারীর। কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন খারিজ করে বুধবার মুরুগান, সান্থান ও পেরারিভালানের যাবজ্জীবনের সাজা বহাল রাখল সুপ্রীম কোর্ট। ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, রাজীব গান্ধীর তিন হত্যাকারী মুরুগান, সান্থান ও পেরারিভালানের ফাঁসি রদ করে যাবজ্জীবনের সাজা শোনায় আদালত। এই তিন হত্যাকারীর ফাঁসি চেয়ে সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন কেন্দ্রের সেই আরজি খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানায়, ১১ বছর সময় লেগেছিল তাদের ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদনে সাড়া দিতে। যা ন্যায় বিরুদ্ধ। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে কেন্দ্র যাতে সঠিক সময়ে মার্সি প্লি’র উল্লেখ করেন, সেই আবেদনও জানান বিচারপতি। ওয়েবসাইট
×