ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজন হত্যার আসামি কামরুলকে দেশে আনতে ৩২ পৃষ্ঠার নথি সৌদিতে

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১ আগস্ট ২০১৫

রাজন হত্যার আসামি  কামরুলকে দেশে  আনতে ৩২ পৃষ্ঠার  নথি সৌদিতে

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ শিশু রাজন হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারী পর্যায়ে কাজ চলছে অব্যাহতভাবে। সে লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৩২ পৃষ্ঠার একটি নথি ইতোমধ্যে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। এতে রাজন হত্যাকা-ে জড়িত কামরুলের গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ইন্টারপোলের রেড নোটিসের কপিসহ কোন্ আইনে কামরুলের বিচার করা হতে পারে, সে বিষয়ে জরুরী কাগজপত্র রয়েছে। দ্রুত বিচার আইনে সামিউল হত্যার বিচার করা হবে উল্লেখ করে হত্যা মামলার আসামি কামরুলকে ফিরিয়ে দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে আটক কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে সে দেশের সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ বহিঃসমর্পণ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ৩২ পৃষ্ঠার নথিতে রাজন হত্যাকা- নিয়ে বরখাস্ত পুলিশের এসআই আমিনুলের দায়ের করা এজাহারের একটি কপিও রয়েছে। ঘটনার সব সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তি ও রাজনের বাবার দায়ের করা এজাহারে যেখানে, ‘রাজন চোর ছিল না’ বলে বক্তব্য এসেছে, সেখানে অভিযুক্ত পুলিশের এ এজাহার পাঠানোর ব্যাপারে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসআই আমিনুল ইসলামের দায়ের করা এজাহারে সামিউলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ৮ জুলাই ভোর ৬ টায় ভ্যানগাড়ি চুরি করার সময় ওই ওয়ার্কশপের নিরাপত্তা প্রহরী ময়না মিয়া আশপাশের ওয়ার্কশপের লোকজনকে নিয়ে অজ্ঞাত এক শিশুকে (সামিউল) মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে ওই শিশুটি মারা যায়। যেহেতু আমিনুলের এজাহারে রাজন ‘চোর’ ও কামরুলের নাম ‘আসামি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি সেখানে অভিযুক্ত পুলিশের এজাহার কামরুলকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কিছুটা জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। মানববন্ধন ও সাইকেল র‌্যাালি ॥ শিশু রাজনকে নির্মমভাবে হত্যায় জড়িতদের বিচার দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও সাইকেল র‌্যালি করেছে রাজধানীর লালবাগ ‘সাইক্লিং ক্লাব’। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির সদস্যরা এ কর্মসূচী পালন করেন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শাহারিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাজন হত্যার বিচার দ্রুত কার্যকর করা না হলে ব্যক্তি,গোষ্ঠী, রাষ্ট্র ও বিশ্বমানবতা সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। শিশু রাজন বড় হয়ে অনেক কিছ্ইু হতে পারত। কিন্তু মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তাকে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হলো।
×