ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ-চীন সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১ আগস্ট ২০১৫

দক্ষিণ-চীন সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

চীন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং উত্তেজনার মাত্রা চড়িয়ে দেয়ার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে। ওই জলরাশির মালিকানা সম্পর্কিত বিরোধ উত্তেজনার পেছনে ইন্ধন যোগায়। ওই সাগরপথ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য খুবই অপরিহার্য। খবর হিন্দু অনলাইনের। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই সাগরে টহলদান ও যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠানের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে। কড়া বাকযুদ্ধের মূলে রয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরের ভূখ-গত বিরোধ। এটি চীনকে ভিয়েতনাম ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান ও ব্রুনেইয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এশিয়ার দিকে মূল ‘দৃষ্টি’ দেয়ার মতবাদ ব্যক্ত করার পর প্রশান্ত মহাসাগরে সামরিক তৎপরতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মতবাদের তাগিদে ওয়াশিংটন এর বাহিনীর শতকরা ৬০ ভাগ প্রশান্ত মহাসাগরে মোতায়েন করেছে। বেজিংয়ে এ মতবাদকে চীনের প্রভাব রোধ করার নীতি হিসেবে দেখা হয়। চীনারা ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিট কমান্ডার এ্যাডমিরাল স্কট সুইফটের গত সোমবারের গোয়েন্দা মিশনের কারণে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ হয়। সুইফট দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে পি-৮এ বিমানে চড়ে সাত ঘণ্টা ধরে পর্যবেক্ষণ চালান। বৃহস্পতিবার চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াং ইয়াজুন এক নিউজ ব্রিফিংয়ে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র চীন ও দক্ষিণ চীন সাগরের অন্যান্য দাবিদার দেশের মধ্যে মতবিরোধ বাড়িয়ে তুলতে চীনা হুমকিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ঐ অঞ্চলে জাহাজ ও বিমান পাঠিয়ে চীনের ওপর প্রায়ই ব্যাপক ও নিবিড় গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি তারা প্রায়ই যৌথ মহড়ার আয়োজন করে সামরিক জোটের সংখ্যা ও তাদের সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়িয়েছে। ইয়াং জোর দিয়ে বলেন যে, চীনের চলমানকে নৌমহড়া এক রুটিন মাফিক কর্মসূচী এবং তৃতীয় কোন পক্ষ এর লক্ষ্যস্থল নয়।
×