ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর ঘোষণা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ উপবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১ আগস্ট ২০১৫

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ উপবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ইংরেজীতে পারদর্শী হওয়া খুবই প্রয়োজন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর জনশক্তিতে রূপান্তর করতে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ইংরেজীতেও পারদর্শী হতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী একই সঙ্গে বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও ঝরে পড়া রোধে চলতি বছর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির নবনির্বাচিত মহাসচিব মোঃ সেলিম। সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহ-উল আলম ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার আইসিটিভিত্তিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে ৫৫টি পিটিআইতে কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) পিটিআইগুলোতেও ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর যথাযথভাবে তা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রয়োগ হচ্ছে কি নাÑ তা নিয়মিত তদারকি করার জন্য তিনি পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও ঝরে পড়া রোধে চলতি বছর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষার মানউন্নয়ন ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের মূল কাজ সম্পন্ন করে থাকেন পিটিআই-এর ইন্সট্রাক্টররা। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা জরুরী। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকদের দেশের পাশাপাশি বিদেশেও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এটি দেশকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপনের একটি ইতিবাচক দিক। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহ-উল আলম বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করার দায়িত্ব পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের। শিক্ষার মানোন্নয়নে পিটিআই কর্মকর্তাদের সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা পিটিআইকে প্রাথমিক শিক্ষক কলেজে রূপান্তরের প্রস্তাবের পাশাপাশি ৫৫টি সহকারী সুপারের পদ সৃষ্টির দাবি করেন। উল্লেখ্য, দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজী এমনকি মাতৃভাষা পঠন দক্ষতা নিয়েও বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে।
×