ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এজবাস্টন জয়ে এগিয়ে গেল ইংলিশরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১ আগস্ট ২০১৫

এজবাস্টন জয়ে এগিয়ে গেল ইংলিশরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এজবাস্টন টেস্টে ৮ উইকেটের জয়ে পাঁচ ম্যাচের এ্যাশেজ সিরিজে ২-১এ এগিয়ে গেল ইংলিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রয়োজনীয় ১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন ৩২.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৬Ñ এ গুড়িয়ে দিয়ে ইংল্যান্ড করেছিল ২৮১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে অতিথি অসিদের সংগ্রহ ২৬৫। মূলত প্রথম ইনিংসে মাইকেল ক্লার্কদের ব্যাটিং ব্যর্থতাই প্রতিপক্ষকে জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেয়। বৃহস্পতিবার ট্রেন্ট ব্রিজে শুরু সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। গৌরবের খেলা ক্রিকেট এজবাস্টনে যথেষ্ট রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। ১৪৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে এক পর্যায়ে ১১১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। মনে হচ্ছিল, কুলীন অসিদের ইনিংস ব্যবধানে হারটা কেবলই সময়ের ব্যাপার। সেখান থেকে দলকে ২৬৫ রানে নিয়ে যাওয়ার রূপকার পিটার নেভিল ও মিচেল স্টার্ক। অষ্টম উইকেট জুটিতে ১৮.১ ওভারে মহামূল্যবান ৬৪ রান এনে দিয়ে দুই দিনেই দলকে কেবল ইনিংস-হারের লজ্জা থেকে বাঁচাননি, উল্টো লিডও এনে দেন দুই টেলএন্ডার। এটিই সফরকারীদে সর্বোচ্চ জুটি! বোলিংই যার প্রধান কাজ, সেই স্টার্ক নয় নম্বরে নেমে করেন ৫৮ রান। ২০তম টেস্টে এটি তার পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। আর লর্ডসে আগের ম্যাচে অভিষিক্ত নেভিল তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ৫৯ রান করে আউট হন তিনি। অবশ্য ইনিংসের সর্বোচ্চ ৭৭ রান আসে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে। ৬২ বলে ১১ চারের সাহায্যে এ রান করেন অসি ওপেনার। ২১ ওভারে ৭৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন ইংলিশ পেসার স্টিভেন ফিন। ম্যাচে তার শিকার সংখ্যা ৮। তিন শ’ উইকেটের মাইলফলক গড়ার ম্যাচে বড় হার দেখতে হলো অস্ট্রেলিয়ার মিচেল জনসনকে। প্রথম ইনিংসে জনি বেয়ারস্টোকে আউট করে এই অর্জনে নাম লেখান আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থসেরা বোলার। এরপর তুলে নেন বেন স্টোকসকেও। এ রিপোর্ট লেখার সময় ৬৯তম টেস্টে বাঁহাতি পেসারের উইকেট ৩০১। কেবল তাই নয়, শেন ওয়ানর্নের পর দ্বিতীয় অসি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে তিন শ’র ওপরে উইকেট এবং ২ হাজারের বেশি রান সংগ্রহে দারুণ অলরাউন্ডার নৈপুণ্যের সাক্ষর রাখেন ৩৩ বছর বয়সী কুইন্সল্যান্ড তারকা। ৭০৮ শিকারে এ তালিকায় সবার ওপরে শেন ওয়ার্ন। বাকি সবাই পেসার। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ১৩৬/১০ (৩৬.৪ ওভার; রজার্স ৫২, ভোগস ১৬, হ্যাজলউড ১৪*, স্টার্ক ১১, লেয়ন ১১, ক্লার্ক ১০; এ্যান্ডারসন ৬/৪৭, ফিন ২/৩৮, ব্রড ২/৪৪) ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৬৫/১০ (৭৯.১ ওভার; ওয়ার্নার ৭৭, নেভিল ৫৯, স্টার্ক ৫৮, জনসন ১৪, লেয়ন ১২*, স্মিথ ৮; ফিন ৬/৭৯, এ্যান্ডারসন ১/১৫, স্টোকস ১/২৮, ব্রড ১/৬১, মঈন ১/৬৪)। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২৮১/১০ (৬৭.১ ওভার; রুট ৬৩, মঈন ৫৯, বেল ৫৩, কুক ৩৪, ব্রড ৩১, লিথ ১০, বাটলার ৯; লেয়ন ৩/৩৬, হ্যাজলউড ৩/৭৪, জনসন ২/৬৬, স্টার্ক ২/৭১) ও দ্বিতীয় ইনিংস ০০/০০ (০০ ওভার। ফল ॥ ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী। সিরিজ ॥ পাঁচ টেস্টের এ্যাশেজে ইংল্যান্ড ২-১এ এগিয়ে
×