ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যুর আগে তালিকাভুক্ত হতে চান মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২ আগস্ট ২০১৫

মৃত্যুর আগে তালিকাভুক্ত হতে চান মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১ আগস্ট ॥ পলাশবাড়ী উপজেলার পার আমলাগাছি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কবি ও সাংবাদিক মোহাম্মদ আমিনুল আহসানের নাম এখনও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়নি। ফলে অসুস্থ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছে। জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে স্বাধীনতার পর পূর্ত মন্ত্রণালয়ে তার একটি চাকরি হয়েছিল। কিন্তু ’৭৫-এর আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর ষড়যন্ত্র করে তাকে মিথ্যা অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়। উল্লেখ্য, আমিনুল আহসান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভারতের মানকাচরের কাকড়ি পাড়া মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে গিয়ে ভর্তি হন। পলিটিক্যাল মটিভেটর হিসেবে ৬নং সেক্টরে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে ১১নং সেক্টরে চলে আসেন এবং সুবেদার মেজর আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পার আমলাগাছি থেকে ঢাকায় চলে যান। পূর্ত মন্ত্রণালয়ে তার চাকরি হয়। মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত হিসেবে পরিচিতি ছিল। ১৫ আগস্টের পরে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরির মেয়াদ তিন বছর না হওয়ায় বরখাস্তের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে যেতে পারেননি। এদিকে পত্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় ঢাকার দৈনিক সমাচারে যোগদান করেন। এ পত্রিকায় তিনি ২৭ বছর বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেন। এ সময় মালিক পক্ষের যথেষ্ট সহযোগিতাও তিনি পেয়েছেন। পত্রিকায় কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় চিকিৎসা বাবদ তার অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য। এই সময়ে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ তাকে কোন সহযোগিতা করেননি। তদুপরি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম না থাকায় সেখানেও তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। এমনকি উচ্চ শিক্ষিত ছেলে মেয়েকেও সরকারী চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি। অথচ তিনি এখনও আওয়ামী লীগের কর্মী। পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুর রহমান সরকারের প্রত্যয়নপত্রসহ তিনি আবারও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও সাড়া মেলেনি। অসুস্থ এই মুক্তিযোদ্ধার একটিই স্বপ্ন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করতে চান। জয়পুরহাটে ২০ যুবক উদ্ধার ॥ এক পাচারকারী গ্রেফতার নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ১ আগস্ট ॥ নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা ২০ যুবককে জয়পুরহাটের ডিবি পুলিশ শুক্র ও শনিবার উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে পাচারকারী দলের সদস্য জয়পুরহাট সদরের জামালপুর ইউনিয়নের চক দাদরা গ্রামের মৃত সিরাজ আকন্দের ছেলে লাভলু আকন্দকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে জয়পুরহাট গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) দফতরে গ্রেফতার অভিযানের বিবরণ দেন গোয়েন্দা পুলিশের জয়পুরহাটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান। ডিবি সূত্র জানায়, নরসিংদী জেলার ৫ জন এবং গাইবান্ধা জেলার ৪ জনকে শুক্রবার রাতে নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে পাচারকারী চক্র জয়পুরহাট নিয়ে এসে শহরের সৌরভ আবাসিক হোটেলে রাখে। রাতেই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে উদ্ধার।
×