ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় ডাকাত ধরার পুরস্কার জেল হাজত

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২ আগস্ট ২০১৫

পাবনায় ডাকাত ধরার পুরস্কার জেল হাজত

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১ আগস্ট ॥ ডাকাতির সময় জনতার প্রতিরোধে ধৃত ডাকাতকে পুলিশ বলছে ভাল মানুষ। শুধু তাই নয়, ওই ডাকাতকে মারপিটের অভিযোগে পুলিশ উল্টো ৪ গ্রামবাসীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। আমিনপুর থানায় এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ ও অসস্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, গত রমজান মাসে আমিনপুর থানায় অন্তত ১৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সময় বেশ কয়েকজন মহিলাকে লাঞ্ছিতও করা হয়। যদিও আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসব ডাকাতির ঘটনা অস্বীকার করে আসছেন। ডাকাত আতঙ্কে ৪ ইউনিয়নবাসী রাত জেগে পাহারা দিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাগরকান্দি ইউনিয়নের চরখলিলপুর গ্রামে নিজাম ম-লের বাড়িতে ৮-১০ জনের ডাকাত হানা দেয়। গ্রামবাসী এ সময় ডাকাতদের প্রতিরোধে এগিয়ে এসে জয়নাল নামে এক ডাকাতকে ধরে ফেলে। জনতা ওই ডাকাতকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ আহত ডাকাতকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাকাতকে মারপিটের অভিযোগে পুলিশ গ্রামের এরশাদ, লালচাঁদ, নিজাম ও মোসলেমকে আটক করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন সরকার ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাল মানুষ জয়নালকে আটক করে মারপিট করা হয়েছে। তাই ৪ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সাগরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চরখলিলপুর গ্রামের নিজান ম-লের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, জনতা ডাকাতদের ঘেরাও করে জয়নাল নামে এক ডাকাতকে আটক করেছে। পুলিশ এখন ডাকাতির ঘটনা ধামা-চাপা দিয়ে ডাকাতকে ভাল মানুষ বানিয়ে উল্টো গ্রামবাসীকেই হয়রানি করছে।
×