ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাসীর মামুন

সাকাচৌর রায় ও আদালত অবমাননা

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩ আগস্ট ২০১৫

সাকাচৌর রায় ও আদালত অবমাননা

বিচারকরা যেদিন ঘোষণা করলেন সাকাচৌর মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণা করা হবে ২৯ জুলাই, সেদিন থেকে মানুষ রায়ের জন্য একাগ্রচিত্তে অপেক্ষা করেছে। গোলাম আযমের রায়ের পর সম্ভবত সাকাচৌর রায় নিয়েই মানুষ উদ্বিগ্ন ছিল বেশি। [বিস্তারিত চতুরঙ্গ পাতায়, পৃষ্ঠা-৭] প্রশ্ন উঠতে পারে, আদালতে হাই প্রোফাইল কোন মামলা হলেই সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ। কারণ, এ ধরনের হাই প্রোফাইল মামলার পক্ষে-বিপক্ষে থাকে রাজনৈতিক শক্তিÑ আওয়ামী লীগের পক্ষের আর বিপক্ষের মানুষজন। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই উদ্বেগ! উদ্বেগের কারণ, ১৯৭৫ সালে মোশতাক-জিয়া দেশটাকে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলেছেন। মানুষের মনোজগত এত সফলভাবে পাকিস্তানীরা ছাড়া আর কেউ বিভক্ত ও প্রভাবান্বিত করতে পারেনি। জিয়া পাকিস্তানী বাঙালী জাতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন মনোজগতে অস্ত্রোপচার করে এবং তাতে সফলও হয়েছেন। বিচারক, সাংবাদিক, শিক্ষক, সরকারী কর্মচারী সবাই এখন দু’ভাগে বিভক্ত। আপনি বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেন; কিন্তু সেটা হবে বাস্তবকে বা সত্যকে অস্বীকার। সে কারণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কোন বিষয় আলোচনায় এলেই দুটি ভাগ হয়ে যায়। টাকা পয়সার ক্ষেত্রে নয়।
×