ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেফতার চার

গাইবান্ধায় এবার নির্যাতনের শিকার কিশোর

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৩ আগস্ট ২০১৫

গাইবান্ধায় এবার নির্যাতনের শিকার কিশোর

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২ আগস্ট ॥ গরুর চুরির অপবাদ দিয়ে শরীরে সিগারেটের ছ্যাকাসহ অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আরিফ মিয়া (১৩) নামে এক কিশোরের পা ভেঙে দেয়ায় পুলিশ রবিবার দুপুরে চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো সাদেকুল ইসলাম, আবুল কাশেম, ময়নুল ইসলাম ও আইয়ুব আলী। আরিফ মিয়া এখন ভাঙা পা এবং শরীরের যন্ত্রনা নিয়ে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে। আরিফ ওই গ্রামের শহিদুল মিয়ার ছেলে। সে রাজমিস্ত্রির সহকারী যোগালি হিসেবে কাজ করে। আরিফের মা জানান, গত ২৫ জুলাই রাতে বাড়ির পাশের বিল থেকে মাছ ধরে তার ছেলে ফিরছিল। এ সময় ওই গ্রামের ফেলানু ব্যাপারীর ছেলে আইয়ুব আলী, মহসিন আলী, ইব্রাহিম আলীর ছেলে ময়নুল ইসলাম ও দেলবর রহমানের ছেলে মধু মিয়াসহ কয়েকজন তার পথরোধ করে দাঁড়ায়। এ সময় মহসিন ও ময়নুল তাদের গরু চুরির জন্য আরিফকে দায়ী করে বলে, ‘তুই গরু চুরি করেছিস’। সে অস্বীকার করলে তারা ক্ষেপে যায়। গরু চুরির ওজুহাতে রাতভর তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তারা পিটিয়ে তার ডান পা ভেঙে দেয় এবং ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাকা দেয়। গত শনিবার একদল সাংবাদিক গাইবান্ধা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে আরিফকে দেখতে পায়। তখন আরিফ তাদের কাছে তার উপর অমানষিক নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করে। আরিফ জানায়, প্রথমে তাকে রাস্তার ওপর বেদম মারপিট করে। পরে তাকে একটি বাড়িতে আটক রেখে সারারাত তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তার দু’হাত বেঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেয়া হয়। এছাড়া তার বাম পা ও ডান হাতে সিগারেটের আগুনের ছ্যাকা দেয়া হয়। আরিফের বাবা শহীদুল মিয়া জানান, পেটের দায়ে তার ছেলে বাড়িতে বসে না থেকে রাজমিস্ত্রির যোগালি হিসেবে কাজ করে। তার ছেলে চোর নয়। তিনি আরও জানান, টাকার অভাবে এখন চিকিৎসা করাতে পারছি না। গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগের ডাঃ আবদুল কাদের খান জানান, আট দিন ধরে ছেলেটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
×