ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ডেন ভিলাস

খেলতে না পারায় আমরা হতাশ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৩ আগস্ট ২০১৫

খেলতে না পারায় আমরা হতাশ

মোঃ মামুন রশীদ ॥ ভাগ্যটা বেশ খারাপই বলতে হবে। তিন বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অভিষেক ঘটেছিল তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ডেন ভিলাসের। কিন্তু জোহানেসবার্গে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক সেই টি২০ ম্যাচে ব্যাট হাতে নামা হয়নি। সেটাও বৃষ্টির বাগড়ায় বিঘিœত ছিল। তিন বছর পর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন ৩০ বছর বয়সী ভিলাস। এবার টেস্ট অভিষেকেও ব্যাট হাতে নামার সুযোগ কমে গেছে। মিরপুরে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অভিষেক হলেও তিনদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ব্যাট করতে নামার সুযোগ কমে গেছে ভিলাসের। এ কারণে দারুণ হতাশা প্রকাশ করলেন তিনি। কিন্তু বৃষ্টির আগে পর্যন্ত প্রোটিয়া বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে তার দাবি ভাল অবস্থানেই ছিল সফরকারীরা। রবিবার মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভিলাস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম যাত্রায় কোন অবদান রাখার সুযোগ পাননি ভিলাস। ব্যাট হাতে নামতে হয়নি এবং বৃষ্টির কারণে পুরো খেলা না হওয়াতে উইকেটরক্ষক হিসেবেও কোন ক্যাচ লুফতে পারেনি। ২০১২ সালের ৩০ মার্চ ভারতের বিপক্ষে টি২০ অভিষেকটা এভাবেই কেটেছিল ভিলাসের। এরপর আর প্রোটিয়াদের হয়ে খেলার সুযোগই হয়নি। তিন বছর পর টেস্ট দলে যদিও বা সুযোগ মিলল, এবারও সেই বৃষ্টি তাকে ব্যাট হাতে নামার সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে দিয়েছে। অবশ্য উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে দুটি ক্যাচ ধরে অভিষেক টেস্টে কিছুটা হলেও অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছেন এবার। নিজের অভিষেক নিয়ে ভিলাস বলেন, ‘হ্যাঁ, দেখেন অবশ্যই প্রথমদিনে বেশ উত্তেজনা বোধ করছিলাম এবং ক্যাপটা পরার অপেক্ষায় ছিলাম। দেখুন কয়েক বছর ধরে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলাটা সবসময়ই ছিল স্বপ্ন। আর আমি মনে করি যে কোন পরিস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া যে সেটআপ আছে সেই শক্তিমত্তারই প্রমাণ দিচ্ছে। সবাই দলের হয়ে খেলতে চায়। আমরা ডেল এবং মরনের মতো অনেক ছেলেকেই পেয়েছি। বেশ জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে।’ বৃষ্টির কারণে টানা তিন দিন খেলা না হওয়ার কারণে দারুণ হতাশ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় খুব ভাল বল করেছিলাম আমরা। গত দু’দিন ছিল খুবই হতাশাজনক। কিন্তু আমরা নিজেদের ঠিকভাবে মেলে ধরার জন্য আমরা অবশ্যই প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। মাঠটা খুবই অবিশ্বাস্য রকমের। আমরা খুবই আশ্চর্য হয়েছি এখানে কত ভালভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা কাজ করে সেটা দেখে। অবশ্যই আমরা খুবই বিরক্ত এবং হতাশ।’ তবে বৃষ্টির আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪৬ রান করতে পেরেছিল। সে কারণে নিজেদের অবস্থানটা ভাল ছিল বলে দাবি ভিলাসের। তিনি বলেন, ‘দেখেন আমরা ভাল অবস্থাতেই ছিলাম। আমাদের ভাল লাগত যদি কিছুটা খেলতে পারতাম। আমাদের মধ্যে অনেকেই ভারত সফরে যাবে ‘এ’ দলের হয়ে। আমি জানি এ খেলোয়াড়রা সবাই খুব পেশাদার এবং তারা সবাই আসন্ন সফরের জন্য বেশ প্রস্তুত।’ ভিলাসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইতোমধ্যেই কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা কুইন্টন ডি ককের। এ বিষয়ে ভিলাসের মন্তব্য, ‘কুইন্টন খুবই মেধাবী খেলোয়াড়, তিনি চমৎকার পারফর্ম করেছেন এবং আমার কোন সন্দেহ নেই যে তিনি যে কোন সময় একাদশে খেলার মতো যোগ্যতা রাখেন এবং যে কারও ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করছেন। যেমনটা আমি বলেছি সবাই দলে ঢুকতে চায় এবং নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায়।’ বৃষ্টির কারণে হোটেলেই বিভিন্ন মুভি দেখে এবং গল্প করে সময় কাটিয়েছেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা। ভিলাস মনে করেন এতে করে দলের সবার মধ্যে বন্ধনটা শক্ত হয়েছে। কিন্তু খেলতে পারলে সেটা আগামী ভারত সফরে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখত বলে দাবি তার। ভিলাস বলেন, ‘আমি মনে করি আধুনিক যুগের খেলায় একজন শুধু টেস্ট কিংবা চারদিনের ম্যাচ খেলার স্পেশালিস্ট হতে পারে না। সত্যি কথা বলতে আমি যে কোন দলের পক্ষেই খেলতে পারি। অবশ্যই আমার স্বপ্ন দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটা দলের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করা। যেখানে বল অনেক টার্ন করে এমন পরিবেশে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্যই আগামীতে অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
×