ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

দিল্লীতে মোদি মমতা বৈঠক ১১-১২ আগস্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৪ আগস্ট ২০১৫

 দিল্লীতে মোদি মমতা বৈঠক ১১-১২ আগস্ট

স্থলসীমান্ত চুক্তি (এলবিএ) সম্পন্ন হওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর বাসস’র। বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের পর তিস্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য দিল্লীতে আগামী ১১-১২ আগস্ট মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে। আগামী ১১-১২ আগস্ট মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করতে মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যাতে কেন্দ্র ও রাজ্য একটি আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ প্রণয়ন করতে পারে, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এলবিএ ও তিস্তা চুক্তির প্রভাবযার অন্তর্ভুক্ত হবে। এর মধ্যে অবকাঠামো, সেচ সহায়তা, ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক সমস্যার সমাধান এবং বাস্তুচ্যুত ও নতুন নাগরিকদের পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে বাংলাদেশের সাবেক ৫১টি ছিটমহল এখন ভারতের ভূখ-ে পরিণত হয়েছে। এসব ছিটমহলের বাসিন্দারা ৬৮ বছর পর নিজের দেশ পেয়েছেন এবং তারা এখন ভারতের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবেন যা এতদিন উপেক্ষিত ছিল। মোদির ‘এ্যাক্ট ইস্ট’ নীতিতে পশ্চিমবঙ্গকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ওই নীতি বাস্তবায়নে মমতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। খবরে বলা হয়েছে, স্থল সীমান্ত চুক্তির কার্যকারিতা ভারতের জন্য একটি সাফল্য। দুটি দেশ একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে। সীমান্ত চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে ছিটমহল বিনিময় করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে ১১১টি ছিটমহলের ১৭ হাজার ১৬০ একর জমি ছেড়ে দিয়েছে এবং ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে ৫১টি ছিটমহলের ৭ হাজার ১১০ একর জমি পেয়েছে। এতে ছিটমহলের বাসিন্দাদের ৬৮ বছরের রাষ্ট্রহীনতার অভিশাপ ঘুচেছে। ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ছিটমহলে বসবাসরত ১৪ হাজার বাসিন্দা ভারতে থাকতে চেয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশে ভারতের ছিটমহলে বসবাসরত ৩৭ হাজার বাসিন্দার মধ্যে কেবল ৯৭৯ জন ভারতে যেতে চেয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অবহিত করেছিলেন যে, ভারতে আসতে ইচ্ছুক হাজার হাজার লোকদের পুনর্বাসনে রাজ্য সরকারকে ৩ হাজার ৯ কোটি রুপীর প্যাকেজ দেয়া হবে। তবে শেষমেশ ৯৭৯ জন আসায় অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মমতাকে জানিয়েছে, অর্থের পরিমাণ অনেক কমে আসবে।
×