ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কনডেনসেট ক্রয়

হল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের কোম্পানি দরপত্র জমা দিয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৪ আগস্ট ২০১৫

হল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের কোম্পানি দরপত্র  জমা দিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হল্যান্ড ভিত্তিক টাপিগোরাক এবং সিঙ্গাপুর ভিত্তিক অলিপ কনডেনসেট কেনার দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছে। সোমবার দরপ্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ দিনে দুই কোম্পানি দরপ্রস্তাব জামা দেয়। বিপিসি সূত্র জানায়, এখন দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন শেষে আমদানিকারক চূড়ান্ত হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রথম দেশে জ্বালানি রফতানি শুরু হবে। গ্যাস ক্ষেত্রের উপজাত কনডেনসেটের পুরোটা প্রক্রিয়া করলে বছরে এই প্রক্রিয়ায় অন্তত দুই লাখ লিটার পেট্রোল রফতানি করা যাবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির প্রধান জেনারেল ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) গিয়াস উদ্দিন আনসারী সোমবার জনকণ্ঠকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে টাপিগোরাক প্রতি ব্যারেলে কম দিতে চেয়েছে তিন দশমিক ৯৫ ডলার এবং অলিপ কম দিতে চেয়েছে দশমিক ৩৮ ডলার। তিনি জানান দরপত্র মূল্যায়ন শেষে কাদের কাজ দেয়া যায় তা সুপারিশ করবে বিপিসি। পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানির কাছ থেকে লিটারপ্রতি কনডেনসেট কেনা হয় ৩৬ দশমিক ৯৩০৪ টাকায়। এর সঙ্গে এক টাকা প্রিমিয়ামযোগ করে পেট্রোবাংলা যা প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানির কাছে বিক্রি করে। যা প্রক্রিয়া করেই পেট্রোল উৎপদান হয়। উৎপাদিত পেট্রোলের সঙ্গে অকটেন বুস্টার মিশিয়ে অকটেন তৈরি করা হয়। দেশে উৎপাদিত অকটেন পেট্রোলের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত থাকায় সম্প্রতি তা রফতানির অনুমোদন চায় জ্বালানি বিভাগ। অনুমোদন পাওয়ার পর ১৫ হাজার লিটার জ্বালানি তেল রফতানির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশের গ্যাসক্ষেত্র তিন লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন কনডেনসেট উৎপাদন হয়েছে। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় তিন লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। আর চলতি অর্থ বছরে এর পরিমাণ হবে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। দেশের ১৪টি কেন্দ্রে এই বিপুল পরিমাণ কনডেনসেট পরিশোধনের সুযোগ থাকলেও দেশের বাজারে কনডেনসেট থেকে পরিশোধিত এ পরিমাণ পেট্রোল ও অকটেন ব্যবহারের সুযোগ নেই। দেশে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন পেট্রোল এবং অকটেনের চাহিদা রয়েছে। আর বাইরে আরও দুই লাখ টন অতিরিক্ত থাকে যায়। গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কনডেনসেটের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে পেট্রোল এবং অকটেনের উৎপাদনও বাড়বে। জানা গেছে, সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে ১৪টি প্রতিষ্ঠান কনডেনসেট পরিশোধন করে পেট্রোল ও অকটেন তৈরি করছে। এর মধ্যে সরকারের চারটি পরিশোধন কেন্দ্র এসজিএফএল, বিজিএফসিএল, আরপিজিসিএল ও ইআরএল মিলিয়ে তিন লাখ ২৮ হাজার ৬৬৪ মেট্রিক টন কনডেনসেট পরিশোধনের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু সরকারের এ চারটি প্রতিষ্ঠান গত এপ্রিল পর্যন্ত দুই লাখ ১১ হাজার ৩৪৫ মেট্রিক টন পরিশোধন করছে।
×