ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু রাজন হত্যা

দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে ॥ ড. মিজান

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৫ আগস্ট ২০১৫

দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে ॥ ড. মিজান

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। মঙ্গলবার সকালে কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেয়ালী গ্রামে রাজনের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে সান্ত¡না দেয়ার সময় তিনি এ দাবি জানান। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দায়ী পুলিশ সদস্যদের কেবল ক্লোজড বা সাময়িক বরখাস্ত করলে চলবে না, তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রাজন হত্যাসহ সারাদেশে শিশু নির্যাতন-হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়াকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে ড. মিজানুর রহমান বলেন, এগুলো মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পুলিশ প্রশাসন কিংবা সরকারের কোন বাহিনীর গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটছে কি না তা খুঁজে দেখতে হবে। সকালে রাজনের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মা, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিজানুর রহমান। তিনি রাজন হত্যা মামলার খোঁজখবর নেন। এ সময় সৌদি আরবে আটক রাজন হত্যা মামলার আসামি কামরুল ইসলামকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি। ড. মিজান বলেন, সরকার উদ্যোগী হলে কামরুলকে দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, রাজন হত্যা মামলাটি আমরা মনিটরিং করছি। এ ঘটনায় আসামিরা রেহাই পাবে না। কারাগার পরিদর্শন ॥ ড. মিজানুর রহমান সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে অনেক নারী ও শিশুর ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো ফৌজদারী মামলায় প্রতিহিংসাবশত নির্বিচারে পরিবারের সবাইকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এতে অনেক নিরপরাধ নারী ও শিশুর জীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। এসব মামলায় একজনের অপরাধে যেন নিষ্পাপ কোন শিশুর জীবন বিপন্ন না হয়, সেজন্য বিশেষ নীতিমালা প্রণয়নেরও আহ্বান জানান তিনি। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই কারাগারে ১২শ’ জনের জন্য ভৌতিক ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও এখানে দ্বিগুণেরও বেশি বন্দী রয়েছেন। ফলে প্রাপ্য ন্যূনতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
×