ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করিমগঞ্জে সেতু দেবে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৬ আগস্ট ২০১৫

করিমগঞ্জে সেতু দেবে যান চলাচল বন্ধ

মাজহার মান্না, কিশোরগঞ্জ থেকে ॥ করিমগঞ্জের জয়কা বারুকবাজার সংলগ্ন নরসুন্দা শাখা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর পিলার পানির খড়াস্রোতে বেইজের নিচে মাটি সরে ২ ফুট বসে গেছে। বর্তমানে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলা সদরের সঙ্গে তিন উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ কারণে আটকে গেছে আশুগঞ্জ, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৭ ইউনিয়নের ব্যবসায়ীদের বিক্রিত কয়েকশ’ টন ধান-চাল। মঙ্গলবার বিকেলে বিকট শব্দে সেতুটির মাঝের পিলার দেবে যায়। এরপর সেতুটি যে কোন সময় ধসে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন এ সেতুর ওপর দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এদিকে সেতুটি ধসে পড়লে দু’পাড়ের সংযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে এলাকার ব্যবসায়ী ও অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। জানা গেছে, ১৯৮৬Ñ৮৭ সালে উপজেলা এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্য নরসুন্দা শাখা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণের ফলে করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ও জয়কা ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুুষ ও হাজারো যানবাহন এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতো। এছাড়াও হওরাঞ্চলের নিকলী ও মিঠামইন উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন হতে হাজার হাজার মানুষ জেলা সদরে যেতে এই একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায় সেতুর সংযোগ কিশোরগঞ্জ-গুনধর সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে এলাকার জেলেরা সেতুর পিলারের গোড়ায় পানিতে বিভিন্নœ ধরনের টানা জাল দিয়ে মাছ ধরা ও স্রোতের ফলে সেতুর পিলারের বেইজের নিচের মাটি সরে যায়। এ কারণে মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ বিকট শব্দ সেতুটি বসে যায়। এতে করে সেতুর মধ্যভাগে দেবে গেছে বেশিরভাগ পরিমাণ জায়গা এবং নিচের দুটি পিলার হেলে পড়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ধান ব্যবসায়ী জানান, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন মরিচখালি বাজার হতে হাওরাঞ্চলে কয়েকশ’ টন ধান দেশের বিভিন্ন এলাকায় রফতানি করা হয়। এ সেতুটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা না হলে ব্যবসায়ীরা কয়েকশ’ টন ধান বিক্রি করতে পারবে না। এতে করে তাদের অনেকে পথে বসতে হবে। জয়কা ইউপি চেয়ারম্যান হাদিস মিয়া জানান, সেতুটি হাওরাঞ্চালের মানুষের জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। দেবে যাওয়া সেতুটি অতি দ্রুত সংস্কার না হলে এলাকার অর্ধলক্ষাধিক মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের চরম ক্ষতি সাধন হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সেতু দেবে যাওয়ার বিষয়টি ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, সেতুটি সংস্কার করে খুব দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চরফ্যাশনে সংযোগ সড়কে ধস নিজস্ব সংবাদদাতা, চরফ্যাশন থেকে জানান, উদ্বোধনের ৩ মাসের মাথায় প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোলা জেলার বৃহত্তম চরফ্যাশনের মায়ানদীর ব্রিজের সংযোগ সড়ক ও সিঁড়ি ধসে গেছে। এতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যোগাযোগ। সিঁড়ি ধসে পড়ার ঘটনায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বুধবার এলজিইডির ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী ছিদ্দিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলজিইডির চরফ্যাশন উপজেলা প্রকৌশলী সোলাইমান জানান, মায়ানদীর ব্রিজের উত্তর প্রান্তের এ্যাপ্রোচ সংযোগ সড়কের নির্মিত বক্স কালভার্টের উত্তর প্রান্তের উইং ওয়াল সংলগ্ন সড়কের ৫ থেকে ৭ মিটার এলাকা বর্ষার পানিতে ভেসে গেছে।
×