ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরার ভোমরা খাটাল

গরু ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি ॥ না দিলে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৬ আগস্ট ২০১৫

গরু ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি ॥ না দিলে নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সদর উপজেলার ভোমরা স্থলবন্দর সংলগ্ন খাটালে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক গরু প্রতি তিন হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। চাহিদা মতো চাদার টাকা না দিলে খাটাল মালিক ও তার লোকজন গরু ব্যবসায়ীদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করছে। খাটাল মালিকের হয়রানির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের পক্ষে সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীদাড়ি গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মাসুদ হোসেন মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী গরু ব্যবসায়ী মাসুদ হোসেন ভোমরা করিডোরে গরু প্রতি ৫শ’ টাকা হারে রাজস্ব দিয়ে খাটালে গরু আনতে গেলে খাটাল মালিক লিয়াকত ও ম্যানেজার রবিউল তার কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে তিনি সাতক্ষীরার বিজিবি কমান্ডিং অফিসারকে জানান। পরে তিনি স্থানীয় ভোমরা ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে দেখা করে ক্যাম্প কমান্ডারের কথামতো খাটালে গরু আনতে গেলে ম্যানেজার রবিউল ও তার লোকজন তাকে বেদম মারিপট করে। একপর্যায়ে তিনি পালিয়ে চলে আসেন। পরে স্থানীয় জনগণের চাপের মুখে তার গরু ও করিডোরের কাগজ ফেরত দেয়া হয়। অভিযোগ, লুৎফার রহমানের ছেলে লিয়াকত ও তার সহযোগী মোহন্ত রায়ের ছেলে চঞ্চল ভোমরা খাটালের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক মোটা অংকের চাঁদা আদায় করা শুরু করে। সরকারী রাজস্ব ফি ৫শ’ ও অন্যান্য খরচ বাবদ আরও ২ থেকে ৩শ’ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও খাটাল মালিকরা গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক তিন হাজার টাকা আদায় করে থাকে। টাকা না দিলে তাদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। লিয়াকত ও চঞ্চলের অত্যাচারের কারণে ভোমরা সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু আসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি খাটাল মালিক লিয়াকত ও চঞ্চলের অত্যাচার থেকে গরু ব্যবসায়ীদের রক্ষা ও তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়ম মাফিক গরুর খাটাল পরিচালনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে ভোমরার খাটাল মালিক লিয়াকত তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাটাল নবায়ন করার সময় হয়েছে বিধায় তিনি নিজে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। তিনি যাতে এবার খাটালের ইজারা না পান সেজন্য প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগ করেছে।
×