ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়া পৌরসভা

শ্রমিক-কর্মচারীদের ধর্মঘট শহরে আবর্জনার স্তূপ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৬ আগস্ট ২০১৫

শ্রমিক-কর্মচারীদের ধর্মঘট শহরে আবর্জনার স্তূপ

স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া অফিস ॥ চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বগুড়া পৌরসভায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পরিচ্ছন্নকর্মীসহ পৌরসভার বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের দু’দিন ধরে চলা এই কর্মবিরতির কারণে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ময়লা আবর্জনার ¯ূÍপ জমে দুর্গ›দ্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এর সঙ্গে পৌরসভার অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩শ’ পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ বগুড়া পৌরসভার প্রায় সাড়ে ৪শ’ চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারী বগুড়া পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা বাস্তবায়নের দাবি আসছিল। আন্দোলনরত শ্রমিক ইউনিয়নের বাইরেও চুক্তি ভিত্তিক আরও শ্রমিক রয়েছে। বগুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুইপারসহ সব মিলিয়ে ৬ শতাধিক চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক-কর্মকচারী রয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়েনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২৯ জুলাই পৌর পরিষদের সভায় চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ১২শ’ টাকা বাড়িয়ে অনুর্ধ ৫ হাজার করা হয়। এতে শ্রমিকরা সম্মতি দেয়। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ শর্ত আরোপ করলে। বর্ধিত বেতন-ভাতা নেয়ার ক্ষেত্রে দেয়া শর্তে আগামী ৫ বছর এ নিয়ে কোন আন্দোলন না করাসহ ও শ্রমিক ছাঁটাই করলে কোন আন্দোলন করা যাবে না মর্মে শর্ত দেয়া হয়। আন্দোলনরত শ্রমিক ইউনিয়ন শর্তাধীন চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে। ৩ আগস্ট পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়ন বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শর্তারোপের নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়। শ্রমিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, বেতন-বোনাস বৃদ্ধির সঙ্গে ভবিষ্যতে এ নিয়ে আর কোন আন্দোলন না করা ও শ্রমিক ছাঁটাইসহ আরও কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে তা কোনভাবেই মানা সম্ভব নয়। এ কারণে তারা ওই সব শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছে। এরই মধ্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীরা কর্মবিরতির সঙ্গে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির কারণে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়তে শুরু করায় শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলার পয়েন্ট ময়লা স্তূপাকার হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শর্ত নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়েনের সঙ্গে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক- কর্মচারীরা ধর্মঘট করছে, তবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। রাঙ্গাবালীতে সøুইসগেট নিয়ে দুর্ভোগ ॥ কৃষকদের বিক্ষোভ স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে দুটি স্লুইসগেট নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ইউনিয়নের চরলতা খেয়াঘাট ও গরু ভাঙ্গার স্লুইসগেট দুটি আটকে রেখে এলাকার প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করায় পানি নিষ্কাষণ হতে পারছে না। ফলে অন্তত পাঁচ হাজার একর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন শ’ একর জমির আমন বীজতলা পানিবন্দী হয়ে পড়ে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া, বহু বাড়িঘর জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। কৃষকরা অভিযোগ করেছে, প্রভাবশালীরা নদী থেকে জোয়ারের পানি যেমন তুলেছে। আবার অবিরাম বর্ষণে পানি বেড়েছে। গোটা এলাকা তলিয়ে গেলেও প্রভাবশালীরা স্লুইসগেটের কপাট খুলছে না। মাছ চাষের সুবিধার্থে তারা কৃষকদের পথে বসিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। স্লুইসগেট দুটির কপাট খুলে দেয়াসহ আরও নতুন দুটি স্লুইসগেট নির্মাণের দাবিতে বুধবার ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষক লাঙল, জোয়াল নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। একই স্থানে তারা দীর্ঘ সময় মানববন্ধন করে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান জানান, বন্ধ কপাট খুলে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে আরও দুটি স্লুইসগেট নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করা হবে।
×