ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে ৯০২ কোটি টাকার লেনদেন

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৬ আগস্ট ২০১৫

পুঁজিবাজারে ৯০২ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন। এর ফলে টানা পঞ্চম দিনের মতো পুঁজিবাজারে প্রধান সূচক বাড়ল। তবে দিনটিতে অন্যান্য সূচক সামান্য কমেছে। এদিন শুরুতে সূচকের মিশ্র প্রবণতা থাকলেও প্রথম ঘণ্টা পর তা বাড়তে থাকে। তবে দিনশেষে সূচক বৃদ্ধির গতি কিছুটা হ্রাস পায়। বুধবার সূচক বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। দিনটিতে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমলেও ৯০২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশের উভয় পুঁজিবাজারে কিছুদিন ধরে টানা উত্থানে বিরাজ করছে সূচক। তবে বুধবারের বাজারে লেনদেন সামান্য কমলেও তা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক উত্থান-পতন থাকবে। তবে ধারবাহিক উত্থান কিংবা পতন কোনটাই বিনিয়োগকারীদের জন্য সুফল নয়। এটা হলে শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারিয়ে যায় বলে মনে করছেন তারা। জানা গেছে, সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পর দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২০২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১ হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ১৪৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারদর, যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৯০২ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এর আগের দিন মঙ্গলবার ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪ হাজার ৮৭১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১ হাজার ২০৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১ হাজার ৯০৪ পয়েন্টে। ওই দিন লেনদেন হয় ৯২৮ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার টাকা। সে হিসাবে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বা ২.৭৯ শতাংশ। টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলোÑ ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, এসিআই লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড, এ্যাপোলো ইস্পাত এবং বেক্সিমকো ফার্মা। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, রংপুর ফাউন্ড্রি, আইএফআইসি, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ড, ইবনে সিনা, এএমসিল (প্রাণ), উসমানিয়া গ্লাস ও বিচ হ্যাচারী। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ড্যাফোডিল কম্পিউটার, ইউনাইটেড এয়ার, শাশা ডেনিমস, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম মিউচুয়াল ফান্ড, নাভানা সিএনজি, ইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, পপুলার লাইফ ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, বিএসআরএম স্টিল। এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৯৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ১৩১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯০টির, যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৭৬ কোটি ৮৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এর আগে মঙ্গলবার সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১০০ পয়েন্টে। ওই দিন লেনদেন হয় ৭০ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার টাকা। সে হিসাবে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬ হাজার টাকা বা ৯.৬৭ শতাংশ।
×