ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টঙ্গীতে স্ত্রী হত্যার পর পালানোর সময় ঘাতক আটক

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ৬ আগস্ট ২০১৫

টঙ্গীতে স্ত্রী হত্যার পর পালানোর সময় ঘাতক  আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ৫ আগস্ট ॥ স্ত্রী হত্যার পর দাফনের নামে কাফনের কাপড়ের টাকা উত্তোলন করে পালানোর সময় পুলিশ আনিসুর রহমান (৩২) নামের এক ঘাতককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার দুপুরে টঙ্গীর দক্ষিণ আউচপাড়া বেঙ্গলের মাঠ বস্তিতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। নিহত হতভাগা ওই নারীর নাম মৌসুমী আক্তার (২২)। পুলিশ ও বস্তিবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমান স্ত্রী মৌসুমীকে নিয়ে টঙ্গীর বেঙ্গলের মাঠ বস্তির সিরাজের বাড়িতে ভাড়া থাকত। আনিস একেক সময় একেক কাজ করে সংসার চালাত। ইতোপূর্বে সে আরও ৪টি বিয়ে করে। এ খবর জানত না মৌসুমী। এ নিয়ে গত ৫ মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার সকালে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পাষ- স্বামী আনিসুর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে মৌসুমীর মাথায় ও গলায় এলোপাতারি কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৌসুমীর মৃত্যু হয়। আনিস মৌসুমীর লাশ ঘরে কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে বাইরে দিক থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং কাফনের টাকা উত্তোলন করতে পাশের এলাকায় সাহায্যের জন্য বেরিয়ে পড়ে। ‘কঠিন রোগে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং দাফন-কাফন ও গ্রামের বাড়িতে লাশ বহনের জন্য তার সামর্থ নেই’ এমন মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। প্রায় দেড় হাজার টাকা উত্তোলন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। বুধবার দুপুরে বস্তিবাসীদের মাধ্যমে পুলিশ খবর পেয়ে ঘাতক আনিসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছে ১০ টাকা ও ৫ টাকার নোট মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার টাকা, কাফনের কাপড়, ও হত্যাকা-ে ব্যবহৃত বটি জব্ধ করা হয়। মৌসুমীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী টঙ্গী মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহতের মাথা ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় টঙ্গী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মৌসুমী পঞ্চগড় জেলা সদরের আমলাহার গ্রামের মনজুর হকের মেয়ে। ধৃত আনিসুর রহমান দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়া থানার উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।
×