ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৭ আগস্ট ২০১৫

ঝলক

এবার আত্মঘাতী জঙ্গী গরু! ‘আত্মঘাতী গরু’! বিষয়টি অদ্ভুত। প্রাথমিকভাবে এমনটাই ধারণা করেছিলেন ভারতের এসএসবি জওয়ানরা। সম্প্রতি নেপাল থেকে ভারতে পাচারের সময় ৯৮টি গরু সীমান্তে আটক করে এসএসবি জওয়ানরা। ৯৭টি গরুর শিংয়ে নীল রঙের ‘কোড’ থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল একটি। ব্যতিক্রম এই গরুটির শিংয়ে ছিল লাল রঙের কোড, পেটে কাটা দাগ। এতে জওয়ানদের বদ্ধমূল ধারণা হয় ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।’ অগত্যা গরুর শরীরে মেটাল ডিটেক্টরে পরীক্ষা করতে গিয়ে আরেক চমক। ডিটেক্টরে ‘ডেঞ্জার সিগন্যাল’। তাহলে কি ভয়ঙ্কর কিছু রয়েছে গরুর শরীরে? শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। শেষমেশ এক্স-রে করানো হলো। কিন্তু সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া গেল না। তাহলে মেটাল ডিটেক্টরেই কি ভুল ছিল? এক পশু চিকিৎসক বলেছেন, ‘সম্ভবত গরুটি খাবারের সঙ্গে কোন ধাতব বস্তু গিলে ফেলেছিল। এ জন্যই মেটাল ডিটেক্টর সিগন্যাল দিচ্ছিল। এক্স-রে রিপোর্ট দেখে আমরা নিশ্চিত, অন্য কোন কিছু নেই।’ কৃত্রিম মাংস! প্রাণীহত্যা না করে যদি মাংস খাওয়া যেত, তাহলে বিশ্বে আমিষ সঙ্কট অনেকটাই দূর হতো। অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্যও এটা হতো বিশাল পদক্ষেপ। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের মার্ক পস্ট নামের এক বিজ্ঞানী সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলেছেন। মার্কের দাবি, ইউরোপের মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রিয় হ্যামবার্গারের মাংস এখনও মূলত গরু থেকেই আসছে। কিন্তু তিনি যে পরিকল্পনা করেছেন তা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না। কারণ, তখন প্রাণী থেকে নয়, ল্যাবরেটরিতেই মাংস তৈরি হবে। এতে কম সম্পদ দিয়ে মাংস উৎপাদন বাড়ানো যাবে, গোটা বিশ্বের জন্য খাবারের ব্যবস্থা সহজভাবে করা যাবে। উল্লেখ্য, দেখতে সাধারণ কিমার মতো হলেও ২০১৩ সালেই প্রথম ল্যাবটরিতে তৈরি মাংস দিয়ে বার্গার প্রস্তুত করা হয়। বসই বটে! বিশ্বের সেরা বস কি তবে তিনিই? গল্পটা শোনার পর মনে মনে উত্তরটা পেয়ে যাবেন হয়ত। কারণ, কর্মীদের জন্য এমন অন্তঃপ্রাণ উদাহরণ আর দ্বিতীয়টি নেই! তুরস্কে অনলাইনে খাদ্যপণ্য কেনার সবচেয়ে বড় সার্ভিস ইয়েমেকসেপেতির মালিক নেভজাত আয়দিন। নিজের কোম্পানি বিক্রির অর্থ থেকে কর্মীদের বোনাস দিয়েছেন দেড় কোটি পাউন্ডেরও বেশি। জার্মানিভিত্তিক কোম্পানি ডেলিভারি হিরোর কাছে ইয়েমেকসেপেতি বিক্রি করে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড পান। এর এক কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডই তিনি কর্মীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ১১৪ কর্মীর প্রত্যেকে গড়ে দেড় লাখ পাউন্ড পেয়েছেন। মাসে ৭০০ থেকে ১২শ’ পাউন্ড বেতন পাওয়া কর্মচারীদের কাছে এ ঘটনা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে তিনি মাত্র ৫০ হাজার পাউন্ডে নিজের প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলেন। বিড়ালের জন্য ক্যাফে! প্রিয় পোষ্য বিড়ালটাকে রেখে একা বাইরে যেতে মন চাইছে না আপনার। কিন্তু ওটাকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন সে উপায়ও নেই। ভাবছেন, যদি পাছে লোকে কিছু বলে। সেই বিড়ালপ্রেমীদের এই দুশ্চিন্তা দূর করতে ব্রিটেনে চালু করা হয়েছে ম্যাওক্যাফে; মানে বিড়ালের রেস্টুরেন্ট! আর এটিই বিশ্বের সর্বপ্রথম বিড়াল ক্যাফে। বিড়ালপ্রেমী এবং তাদের প্রিয় বিড়ালের জন্য একটি ক্যাফে খোলার চিন্তা অনেকদিন ধরেই মাথায় ছিল আঠাশ বছরের কেটি জেন গ্লেজির। তার ইচ্ছা, রাস্তার বেওয়ারিশ বিড়ালেরও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবেন তিনি। যেই ভাবা সেই কাজ। বছরখানেক চেষ্টার পর চলতি মাসে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছেন কেটি। সম্প্রতি লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে চালু করেছেন সাধের ‘মগ অন দ্য টাইন’ ক্যাফেটি। জানা গেছে, একসঙ্গে ২০ অতিথি বসতে পারেন ছোট্ট এই ক্যাফেতে। খোলার সঙ্গে সঙ্গেই দুই একটি নয়, একেবারে হাজারটা বুকিং চলে এসেছে কেটির কাছে। এতে বেশ আনন্দিত তিনি।
×