ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুর বিআরডিবির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ৭ আগস্ট ২০১৫

জামালপুর বিআরডিবির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের  অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৬ আগস্ট ॥ জামালপুর পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতিসহ সমবায়ীদের প্রশিক্ষণ প্রকল্প থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন নারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর সঙ্গে অশালীন আচরণ, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ নানা হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া জামালপুরে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি সমবায়ীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রকল্প থেকে উপজেলায় কর্মরত আরডিওদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। ২৯ এপ্রিল জেলায় কর্মরত সকল ইউসিসিএ লিমিটেড কর্মচারীদের বেতন-ভাতার শতকরা ৩০ ভাগ অর্থ আরডিওদের বাধ্য করে হাতিয়ে নেন উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান। বিশেষ করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ইউসিসির কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ৩০ ভাগ অর্থ যা মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক উৎকোচ হিসেবে গ্রহণ করেন। এই ক্ষোভে দেওয়ানগঞ্জের ইউসিসিএ কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এরই মধ্যে উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দেওয়ানগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের হিসাব নিতে গেলে তাকে কর্মচারীরা ঘিরে তার ওপর মারমুখী হন। অবশেষে পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ও ছাইদুরের নেতৃত্বে সকল কর্মচারীর বেতন-ভাতার ৩০% টাকা তার কাছে ফেরত চান। কর্মচারীদের সাথে বাকবিত-ার একপর্যায়ে উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমানের গাড়িসহ তাকে দীর্ঘক্ষণ আটক রেখে লাঞ্ছিত করেন। শুধু তাই নয় এসময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ বিষয়ে হাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রথমে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং পরে বলেন এসব অভিযোগের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এছাড়াও অধীনস্ত নারী কর্মীদের সাথে অশালীন আচরণসহ-উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন। গাজীপুরে ২ শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে ক্লাস বর্জন যৌন হয়রানির অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৬ আগস্ট ॥ মহানগরীর এক স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকসহ দু’শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও ক্লাস বর্জন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কুশপুতুল দাহ করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, কোনাবাড়ির আমবাগ এলাকায় স্থানীয় বাঘিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন সম্প্রতি ৯ম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে তারা রাজি না হলে পরীক্ষায় নাম্বার কম দেয়ার হুমকি দেন ওই শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হন। অভিভাবকরা বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে জানায়। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে বুধবার থেকেই আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বুধবার থেকে দু’দিন ধরে টানা ক্লাস বর্জন শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও ক্লাস বর্জন করেছে।
×