ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি

সামাজিক সংগঠন হিসেবে ঘর বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৭ আগস্ট ২০১৫

সামাজিক সংগঠন হিসেবে ঘর বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বছর দেড়েক আগে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির যশোর জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। তার পরপরই জেলা পরিষদের একটি ঘর অফিস হিসেবে বরাদ্দ নেয় সংগঠনটি। তবে সেই অর্থে সংগঠনটির তেমন কার্যক্রম নেই। কমিটির শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়মিত অফিসে আসেন না। আর এই সুযোগে অফিসের নামে বরাদ্দ সরকারী ঘরটিতে নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুর রফিক সরদার অপু। একই কাজে ব্যবহার হচ্ছে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দেয়া একমাত্র কম্পিউটারটিও। জানা যায়, আব্দুর রফিক সরদার অপু ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মেসার্স কেএএস এন্টারপ্রাইজ নাম তার মালিকাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি জেলা পরিষদসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ করে। এসব ঠিকাদারির কাজে তিনি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির অফিস ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দেয়া কম্পিউটারটি ব্যবহার করেন। সূত্র মতে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও ভাবধারা আদান-প্রদানে অত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি। সেই উদ্দেশ্য সফল করতে ২০১৩ সালের ৫ জুলাই জেলা পরিষদের একটি ঘর বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরের বছর জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির নামে মাসে হাজার টাকার বিনিময়ে একটি ঘর বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ। যদিও সবধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুর রফিক সরদার অপু বলেন, সামাজিক সংগঠন হিসেবে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি। মূলত কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কর্মসূচী হাতে নিই। তবে স্থানীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সংগঠনটি বর্তমানে তার চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।
×