ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বা বু ই বৃ ত্তা ন্ত

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৮ আগস্ট ২০১৫

বা বু ই  বৃ ত্তা ন্ত

ওরাও মানুষ দেশের শতকরা নব্বই জন নারী-পুরুষ শ্রমজীবী। কেউ কেউ অফিস-আদালতে কলকারখানায়, হাটে, মাঠে-ঘাটে, ক্ষেতে-খামারে, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। এদের মধ্যে যারা অফিস-আদালতে কলকারখানায় বা ক্ষেত-খামারে কাজ করে তাদের কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে। যে কারণে নির্ধারিত বেতনের পাশাপাশি অতিরিক্ত সময়ের কাজের পারিশ্রমিক তারা পান। বাৎসরিক বছরের নির্ধারিত বোনাস এবং সরকার ঘোষিত বিভিন্ন ছুটিও তারা ভোগ করেন। কিন্তু যত দুর্ভোগ দেশের লাখ লাখ দোকান কর্মচারীর। তারা সারাবছর আন্তর্জাতিক শ্রম আইন লঙ্ঘন করে দৈনিক ১২ ঘণ্টা শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বিশেষ বিশেষ উৎসব পার্বণে তারা ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কঠোর ও অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পরও এরা নিয়মিত বেতন ও বোনাস পান না। উপরন্তু অসুখ-বিসুখে দু’একদিন ছুটি কাটালে তাদের বেতন কর্তন করা হয়। এভাবেই তারা দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও তাদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। কাজেই একই দেশে দু’রকম শ্রম আইন চলতে পারে না। কারণ দোকান কর্মচারীরাও মানুষ। মো. ওসমান গণী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা উৎপাত মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার প্রায় সব সড়ক, বিশ্ব সড়ক, আঞ্চলিক সড়কে নির্জন এলাকায় একশ্রেণীর অসাধু চক্রকে মাইক্রো, প্রাইভেটকার, হোন্ডা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এরা সাধারণ পথযাত্রী, রিক্সাযাত্রীকে একা পেলে তাদের কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কখনও কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তারা নিজেদের ডিবি ও এসবির লোক পরিচয় দিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। দু-চার কিলোমিটার পথ যাওয়ার পরে সব কিছু রেখে নির্জন স্থানে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। শ্রীনগর তিন দোকান হয়ে বালাশুর, শ্রীনগর-ছনবাড়ি, শ্রীনগর-দোহার বাইপার্স সড়কে, শ্রীনগর দোগাছি সড়কে, শ্রীনগর-গোয়ালীমান্দ্রা প্রভৃতি সড়কে এ ধরনের তৎপরতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। প্রায় প্রতিদিন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এরা পুলিশ বিভাগের নানা সংস্থার পরিচয় বহন করে মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে যাচ্ছে। সড়কে একা নির্ভয়ে চলতে লোকজন ভয় পাচ্ছে। মেছের আলী শ্রীনগর মুন্সীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তি পাবে কি? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আশা আমি করি না। কারণ নিকট অতীতে এই মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত কর্মকা- আমি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছি। বর্তমান মন্ত্রী দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার আগে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মন্ত্রণালয়ের ভিতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ঢাকায় অবস্থানরত কিছু স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধার ব্যাপার অবশ্য আলাদা। গ্রামের যে সব বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা তাদের প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে আসতেন তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন গেটে বসে থাকতে হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের এই অসম্মান প্রদর্শন দেখে মনে হয়, ‘হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশের মানুষ!’ এখানে উল্লেখ্য, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটে সাক্ষাতপ্রার্থীদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেটে তা-ও নেই। এই বয়সে ঢাকা এলে একজন মুক্তিযোদ্ধার নাওয়াÑখাওয়া থাকার উপায় কী একবারও মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা ভেবে দেখেছেন? মোঃ হুমায়ুন কবির (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা) মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিরপুর, ঢাকা ভোটার হতে পারব তো! আমি সপরিবারে খিলক্ষেত (নয়ানগর) এলাকায় ২০১২ সাল হতে সপরিবারে বসবাস করছি। ২০১২ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের খবর টিভি ও পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি। বলা হয়েছিল বাড়ি বাড়ি ভোটার লিস্ট করা হবে। কিন্তু আমার বাড়ি কেউ আসেনি। হঠাৎ একদিন এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিল কুর্মিটোলা হাই স্কুলে ভোটার তালিকার কাজ চলছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গেলাম। আমি অন্য জেলা থেকে এখানে আসার কারণে আমাকে একটি ভিন্ন ফরম দেয়া হলো। আমি ও আমার স্ত্রী তা পূরণ করে উক্ত স্কুলশিক্ষকের কাছে জমা দিলাম। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার আমরা ভোটার হতে পারিনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটার তালিকায় আমার নাম ওঠেনি। এরপর ২০১৪ সালে আবার ভোটার তালিকার কাজ শুরু হলো। আমার মোবাইল ফোনে মেসেজ এলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হবে। কিন্তু এবারও কেউ এলো না। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেল। আমরা বয়স্ক মানুষ। তাই খোঁজখবর নিতে পারিনি। এবারও আমরা ভোটার হতে পারলাম না। আমার ছোট সন্তানের বয়সও ১৮ পূর্ণ হয়েছে। সেও ভোটার হতে পারল না। বর্তমানে আবার ভোটার তালিকার কাজ শুরু হয়েছে। এবারও মোবাইল ফোনে মেসেজ এসেছে। এবার কিন্তু বাড়ি বাড়ি এসে ভোটার তালিকা করা হবে এ কথা বলা হয়নি। কি প্রক্রিয়ায় কারা সংগ্রহ করিবেন কিছুই বলা হয়নি। এবারও কি আমি, আমার স্ত্রী এবং আমার ছোট ছেলে ভোটার হতে পারব না? এভাবে চলতে থাকলে আমরা আর কখনও ভোটার হতে পারব না। আতাউর রহমান খান খিলক্ষেত, ঢাকা এর উত্তর কে দেবে? বাংলাদেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে প্রায় অর্ধশত যাত্রী। সড়ক দুর্ঘটনার প্রধানতম কারণ বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অদক্ষ চালক দিয়ে পরিবহন পরিচালনা, বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের পানি জমে গর্ত হওয়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালনা এবং নসিমন-করিমনসহ অটোরিক্সা দৌরাত্ম্যই সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে জানা যায়। দৈনিক জনকণ্ঠের তথ্যমতে, সারাদেশে অবৈধ চালকের সংখ্যা ৩৩ লাখেরও বেশি। রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ৬১ ভাগ চালক কোন রকম পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স পাচ্ছেন। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ৯১ ভাগ চালক। প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। এত মৃত্যুর জন্য দায়ী অবকাঠামো ও সরকারী, বেসরকারী ব্যবস্থাপনার সঙ্কট। যোগাযোগ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক কর্তৃপক্ষের মজ্জাগত সুবিধাবাদ ও গাফিলতির কারণে প্রাণের এমন অপচয়। সুতরাং এত মৃত্যুকে দুর্ঘটনা না বলে কাঠামোগত হত্যাকা-ই বোধহয় বলা শ্রেয়। আর তাই দৈনিক জনকণ্ঠের ২৫ জুলাই তারিখের পত্রিকায় শিরোনাম করেছেÑ ‘পথে পথে মৃত্যু’। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী গণমাধ্যমে বলেছেন ‘সড়ক দুর্ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির বিধান রেখে আইন করা হবে।’ কিন্তু এতদিনে এ আইন করা হলো না কেন? এর উত্তর কে দেবে? অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া ভুয়া চিকিৎসকদের কর্মকা- দেশে ভুয়া চিকিৎসকদের কর্মকা- বন্ধে বিএমডিসির চতুর্থ সতর্কবার্তা প্রসঙ্গে আপনাদের পত্রিকার ২৩/০৬/২০১৫ইং তারিখের প্রতিবেদনের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। বর্তমান সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্য খাতে সুদূর গ্রাম পর্যন্ত প্রসারিত অবকাঠামোসহ বিপুলসংখ্যক ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার পরও হাজার হাজার ভুয়া ডাক্তার প্রকাশ্যে তাদের নগ্ন থাবা বিস্তার লাভ করে চলেছে, অথচ এর প্রতিকার অতি সামান্যই। যে ক্ষেত্রে বিএমডিসির নিবন্ধন ব্যতীত এমবিবিএস ও বিডিএস পাস করা চিকিৎসকগণ চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে না, সেক্ষেত্রে কিভাবে হাজার হাজার নন-মেট্রিক, মেট্রিক স্বশিক্ষিত ও রেজিস্ট্রিবিহীন ওষুধ বিক্রেতা পর্যন্ত নিজেদের নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করে অবাধে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে? পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রী না থাকা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া আরও জঘন্য অপরাধ। এসব জঘন্য ভুয়া ডাক্তারগণকে অচিরেই এবং ব্যাপকভাবেই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এছাড়া বিডিএস পাস না করেও অনেক ডেন্টাল সহকারী নিজেদের ডেন্টাল সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদেরও আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। অনেক নিবন্ধিত ও অভিজ্ঞ এমবিবিএস ও বিডিএস ডাক্তার রয়েছে যারা বিভিন্ন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শেষে/ট্রেনিংয়ে রয়েছে এই মর্মে ডিগ্রীর ডান পাশে পিজিটিএমডিএমএস এফসিপিএস ১ম পর্ব/২য় পর্ব ইত্যাদি উল্লেখ করে থাকেন যাতে রোগীগণ তাদের সদ্য পাস করা নতুন ও সাধারণ ডাক্তার হিসেবে গণ্য না করেন। উপরোল্লিত হাজার হাজার ভুয়া চিৎসকের তুলনায় এরা মোটও বড় অপরাধী নয়। সুতরাং অন্য হাজার হাজার ভুয়া ডাক্তারের পাশাপাশি এদের লঘুপাপে গুরুদ- প্রদান করা মোটেও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আবেদ খান নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম সরকারী চাকরির বয়স সরকার ইতোমধ্যেই সরকারী চাকরির বয়স ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত করে প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদিকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৫ বৎসর থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বৎসর করা হয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৫ বছর বৃদ্ধি হলেও অবসর গ্রহণের বয়স ৫ বছর বৃদ্ধি হয়নি। ভারত ও পাকিস্তানে চাকরির বয়স ৬০ বছর। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর। এক্ষেত্রে ষাট বছর বয়স পর্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব। ভারত ও পাকিস্তানের গড় আয়ু বাংলাদেশের চেয়ে কম। আবার বাংলাদেশের কোন কোন চাকরিতে বয়সসীমা ৬০ বছরেরও বেশি। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকারী কর্মচারীদের নিকট থেকে যথার্থ সেবা প্রাপ্তির জন্য চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছরে উন্নীতকরণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এমতাবস্থায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছরে উন্নীত করার আবেদন করছি। অন্তত অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল) কালীন সময়ে প্রাপ্য স্বাভাবিক বেতন ভাতাদি ও সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে কেউ নিয়মিত চাকরিতে থাকতে চাইলে তাকে সে সুযোগ দেয়া যায়। এর ফলে একদিকে সরকারী ব্যয় সাশ্রয় হবে অন্যদিকে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন কর্মচারীর সেবা গ্রহণ করে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। সীলবী মহমুদ মানিকগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজ, মানিকগঞ্জ
×