ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে জমি নিয়ে বিরোধে গাছ লুট

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৮ আগস্ট ২০১৫

বরিশালে জমি নিয়ে বিরোধে গাছ লুট

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুবক্কর হাওলাদারের প্রায় দুই লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়েছে একই গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ কর্মী মহসিন সরদার ও তার সহযোগীরা। বিএনপি নেতার অভিযোগ বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রকাশ্যে এ গাছ কেটে নেয়া হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জে.এল ১৩৯ নং তিখাসার মৌজার ২০২ খতিয়ানের ৩০৩নং দাগের ৮ শতাংশ জমি নিয়ে তিখাসার গ্রামের মুজাফফর হাওলাদারের পুত্র বিএনপি নেতা আবু বক্করের সঙ্গে একই গ্রামের জয়নাল সরদারের পুত্র ও আওয়ামী লীগ কর্মী মহসিন সরদার ও মোহন সরদারের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে মোহন সরদারের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক এসেই গাছ কাটা শুরু করেন এবং গত দুই দিনে তারা সাতটি রেন্ট্রি গাছ কেটে নিয়েছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। আবু বক্কর হাওলাদার অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ কর্মী মোহন সরদার তার সহযোগী কামাল সরদার ও জুয়েল হাওলাদারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে তাদের ভাড়াটিয়া ১৪/১৫ জন সন্ত্রাসীরা ক্ষমতার প্রভাবখাটিয়ে তার জমির দুই লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। একই লোকজন একইভাবে শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে পুনরায় গাছকাটা শুরু করে ৫টি রেন্ট্রি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে নারীর মৃতদেহ গুমের চেষ্টা নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৭ আগস্ট ॥ দুর্ঘটনায় নিহত এক নারী কর্মীর মৃতদেহ গুমের চেষ্টা করতে গিয়ে কারখানার অন্য শ্রমিকরা তা দেখে ফেলায় ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছে ওই কারখানার সকল কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানাধীন হরিণধরা এলাকার বিসিক চামড়া শিল্প নগরের নির্মাণাধীন ‘মেট্রো ট্যানারী’তে। নিহত ওই নারী কর্মীর নাম পিয়ারা খাতুন (৩৪)। নির্মাণাধীন ওই চামড়া কারখানায় কর্মরত নজরুল ইসলাম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ট্যানারির ভেতরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ভাত রান্না করছিলেন পিয়ারা খাতুন। ওই সময় পাইলিং করার সময় তিনটি পাইপ হেলে পড়ে। আতঙ্কে সঙ্গে সঙ্গে কারখানার কর্মকর্তা-শ্রমিকরা দ্রুত বাইরে চলে আসে। কিন্তু, পিয়ারা খাতুনকে বাইরে আসতে না বলায় সে ভেতরেই থেকে যায়। হেলে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরে পাইলিংয়ের তিনটি লোহার পাইপ ভেঙ্গে পড়ে পিয়ারা খাতুনের ওপর। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তার। পরে কারখানার কর্মকর্তারা ভেতরে ঢুকে পিয়ারার মৃতদেহ গুমের চেষ্টা চালায়। কিন্তু, শ্রমিকরা তা দেখে ফেলায় কর্মকর্তারা ভয়ে মৃতদেহ ভেতরে রেখেই দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
×