স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০১২ সালের এমবিবিএস কারিকুলাম অনুযায়ী গত মে মাসের প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অকৃতকার্যরা তাদের মূল ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করতে পারবে। আগামী নবেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয়গুলো পাস ও অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তারা ২০১৬ সালের মে মাসের দ্বিতীয় পেশাগত পরীক্ষায় নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে অংশ নেয়ার অনুমতি পাবে।
শনিবার সচিবালয়ে মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কারিকুলাম বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নূরুল হক, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আবু শফি আহমেদ আমিন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, বিএসএমএমইউ’র বিভিন্ন বিভাগের ডিনগন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে ক্লাসে ফিরে যাবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সম্পূর্ণ সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মেডিক্যাল শিক্ষার মান আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এ নিয়ে কিছুদিন যাবত বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। অভিভাবক ও ছাত্রÑছাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। আমি মন্ত্রী হিসেবে জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করি।
এর আগে সচিবালয়ে এক সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী শীঘ্রই একটি গণমুখী ও যুগোপযোগী জাতীয় ওষুধনীতি-২০১৫ চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সরকার নতুন ওষুধনীতি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। এই মাসের মধ্যে এই নীতি প্রণয়ন করে দ্রুত মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: