ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রানজিট দেশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ৯ আগস্ট ২০১৫

ট্রানজিট দেশ বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশকে ট্রানজিট দেশ ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ এখন ট্রানজিট দেশ। বাংলাদেশের এই ট্রানজিট দেশ হওয়ার সিদ্ধান্ত দেশের প্রথম সর্বদলীয় সিদ্ধান্ত। খালেদা জিয়াও এ বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কার্নিভাল’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)। অর্থমন্ত্রী বলেন, মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরের সময় ড. মসিউর রহমান ও গওহর রিজভী নেপাল-ভুটানকে নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেড লিংক স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর তারা দু’জন নেপাল ও ভুটানকে এই ট্রেড লিংক স্থাপনে যুক্ত করেন। এটি ট্রেড লিংক, অবকাঠামো উন্নয়নসহ সকল ধরনের সংযোগ হিসেবে কাজ করবে। মুহিত বলেন, বাংলাদেশ এখন ট্রানজিট দেশ। এর সুবিধার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। চুক্তির ফলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের পরিবহন যোগাযোগ খুব সহজেই হবে। আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সংযোগ স্থাপনের এখন উত্তম সময়। তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বেসরকারী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও লেনদেনে দুই দেশের সরকার সহায়তা করবে। মুহিত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটি কমন মার্কেট থাকতে পারে। পাকিস্তানকেও এতে রাখা উচিত। এটি বিনিয়োগ, লেনদেন, অবকাঠামোর উন্নয়নসহ সকল ধরনের উন্নয়নে সহায়তা করবে। আইসিসির মহাসচিব রাজীব সিংয়ের সঞ্চলনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেনÑ ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ। পঙ্কজ শরণ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় দুই সরকারের মধ্যে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো রিভিউ করার এখন উত্তম সময়। দুই দেশের (ভারত-বাংলাদেশ) সম্পর্ক এখন মানুষের উন্নয়নের সম্পর্ক। তিনি বলেন, আগামী দিনে দুই দেশের বিনিয়োগ ও লেনদেন বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি আশা করি, ভারতের যে ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে, বাংলাদেশ থেকেও একই ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ভারত ভ্রমণ করবে। বাংলাদেশে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত খুবই ভাল সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভবিষ্যতেও ভারত বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায়। ড. মসিউর রহমান বলেন, ভারতকে মংলা বন্দর ও ভেড়ামারায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে মংলায় ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করবে ভারত। আইসিসি মহাসচিব বলেন, আজকের এই সম্মেলন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে এসে করা চুক্তিরই অংশ। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক পণ্যসহ সকল ধরনের ব্যবসায় আইসিসি সহায়তা করবে।
×