ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফেলানীর পরিবার চাইলে বিএসএফ নতুন মামলা করবে ॥ বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১০ আগস্ট ২০১৫

ফেলানীর পরিবার চাইলে বিএসএফ নতুন মামলা  করবে ॥ বিজিবি মহাপরিচালক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফেলানীর পরিবার চাইলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আদালতে নতুন মামলা করবে। এ বিষয়ে ফেলানীর পরিবার ও তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে শীঘ্রই বিএসএফকে অবহিত করা হবে। এছাড়া ফেলানী হত্যার রায় এখনও অনুমোদন করেনি বিএসএফ। রবিবার বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনীর (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ভারতের নয়াদিল্লীতে গত ২-৭ আগস্ট বিজিবি ও বিএসএফ বৈঠক শেষে ঢাকায় ফিরে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বিজিবি মহাপরিচালক। বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ফেলানীর বিষয়টি নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে ফেলানীর বিষয়ে ঘোষিত রায় বিএসএফ মহাপরিচলক এখনও অনুমোদন করেননি। ফেলানীর পরিবার এই রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে বিএসএফকে অবহিত করলে তারা নতুন বিচারকদের সমন্বয়ে নতুন করে আদালত গঠন করবে। সেখানে নতুন করে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে ফেলানীর পিতা ও তাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে শীঘ্রই বিএসএফকে অবহিত করা হবে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক। বিজিবি মহাপরিচালক জানান, ফেলানীর বিষয়ে বিএসএফের কথায় কিছুটা হলেও আমরা আশ্বস্ত হয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে ফেলানীর বিচারের ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। কারণ বিষয়টি বিচারাধীন। সীমান্ত সম্মেলনে ফেলানী হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট সম্পর্কে জানালে বিএসএফ ডিজি বলেছেন, ভারতের নিম্ন আদালত থেকে ফেলানী সম্পর্কে যে রায় দিয়েছে, তাতে বিএসএফ এখনও অনুমোদন দেয়নি। রবিবার বিজিবির সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশের সীমান্ত বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি, হত্যা, আহত করা, নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিকদের গ্রেফতার, আটক, সীমান্ত লঙ্ঘন, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ও মানব পাচার, আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান, ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার, সীমান্ত এলাকায় পপি চাষ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীসমূহের তীর সংরক্ষণ, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উপায় এবং বিবিধ বিষয়সমূহ। বৈঠক শেষে যৌথ আলোচনার দলিল সই হয়। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী ডি কে পাঠকের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
×